মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় বের হওয়ার সময় নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়। বিশেষ করে হেলমেট নিয়ে। কারণ, রাস্তায় থাকা অসংখ্য ধুলো-বালি এসে জমা হয় হেলমেটে। তার ওপর গরম থেকে উৎপন্ন ঘাম তো রয়েছেই।

হেলমেট যদি নোংরা থাকে তা থেকে দুর্গন্ধ বের হতে পারে। এই গন্ধ মাথাব্যথার কারণও হতে পারে। যার ফলে বাইক চালানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারেন। পাশাপাশি অপরিচ্ছন্ন মোটরসাইকেল হয়ে উঠতে পারে নানা রোগের বাসা। ছড়াতে পারে সংক্রমণ। তাই মোটরসাইকেল সপ্তাহে অন্তত একবার পরিষ্কার করা উচিত।

আর এখানেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যান অনেকে। সঠিক উপায়ে কীভাবে হেলমেট পরিষ্কার করা উচিত সেই পদ্ধতি জানা নেই কারো কারো। এই টিপস মেনে চললে আপনি খুব সহজেই হেলমেট চকচকে ঝকঝকে করে তুলতে পারবেন।

হেলমেট পরিষ্কার করার পদ্ধতি-

১. হেলমেট পরিষ্কার করার আগে কিছু জিনিস সঙ্গে নিয়ে নিন। যেমন- একটা মাঝারি বালতি, ডিটারজেন্ট, ওয়াশিং সোডা ও পানি।
২. এবার বালতিতে হালকা গরম পানি নিন। সেখানে দুই চা চামচ ডিটারজেন্ট ঢেলে দিন ও সামান্য ওয়াশিং সোডা যোগ করুন।
৩. এক্ষেত্রে কারো কাছে যদি ওয়াশিং সোডা না থাকে তাহলে সে শুধু ডিটারজেন্টও ব্যবহার করতে পারেন।
৪. এই মিশ্রিত পানিতে হেলমেটটি কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখতে হবে।
৫. ডিটারজেন্ট ও সোডা মিশ্রিত পানিতে হেলমেট থেকে ধুলো-বালি এবং জমে থাকা ময়লা বেরিয়ে যাবে।
৬. এবার একটি ব্রাশ নিয়ে হেলমেটের ভেতরের প্যাডিং অংশটি পরিষ্কার করতে হবে।
৭. তবে খেয়াল রাখবেন বেশি চাপ দিয়ে প্যাডিং পরিষ্কার করা যাবে না। কারণ চেপে পরিষ্কার করলে প্যাডিং নষ্ট হতে পারে।
৮. হেলমেটের গ্লাস পরিষ্কার করার সময় নরম সুতির কাপড় বা তুলো ব্যবহার করতে পারেন।
৯. যখন মনে হবে হেলমেটটি ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়েছে তখন শেষ মুহূর্তে একবার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন যাতে হেলমেট থেকে ডিটারজেন্টর ফেনা দূর হয়ে যায়।
১০. তারপর কয়েক ঘণ্টা রোদে হেলমেটটি শুকিয়ে নিন। পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিলে হেলমেট একদম নতুনের মতো হয়ে যাবে।
১১. মোটরসাইকেল ও স্কুটার চালকদের প্রাণ সুরক্ষিত রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে হেলমেট। তাই হেলমেট নিয়ে উদাসীন হওয়া উচিত নয়।

/এসএসএইচ/