কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভোগেননি, এমন মানুষ কমই আছে। নানা ধরনের প্রচেষ্টার পরও এই সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি মেলে না অনেকের। আসলে আমাদের খাদ্যাভ্যাসই এক্ষেত্রে মূল অপরাধী। একবার ভালো করে চোখ বুলিয়ে দেখুন আপনার খাবারের তালিকার দিকে। সেখানে হয়তো এমন অনেক খাবার আছে যেগুলো কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য দায়ী। আবার এমন অনেক খাবার আছে যেগুলো খেলে বাঁচতে পারবেন এই সমস্যা থেকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই ৫টি খাবার সম্পর্কে-

আপেল

উপকারী একটি ফল হলো আপেল। সুস্থ থাকার জন্য চিকিৎসকেরা প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়ার পরামর্শ দেন। এতে অন্য অনেক সমস্যার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর হবে। কারণ এই ফলে থাকে পর্যাপ্ত ফাইবার। এতে সহজে পেট পরিষ্কার হয়। নিয়মিত আপেল খেলে দ্রুতই উপকার পাবেন। তবে আপেল খোসা ছাড়িয়ে খাওয়ার বদলে খোসাসহ খাওয়ার অভ্যাস করুন।

নাশপতি

আপেলের মতো নাশপতিও একটি উপকারী ফল। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বাঁচতে নিয়মিত এই ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। কারণ এটিও ফাইবারে পূর্ণ। একটি মাঝারি আকৃতির নাশপতিতে থাকে ৫.৫ গ্রাম ফাইবার। তাই নিয়মিত এই ফল খেলে পেট পরিষ্কার হয় সহজেই। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন তাদের জন্য উপকারী একটি খাবার হলো নাশপতি।

পালংশাক

অনেক গুণে ভরা পালংশাক। ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরা এই শাক। নিয়মিত পেট পরিষ্কার রাখতে এই শাক খেতে পারেন। পালং শাকে থাকে প্রচুর ডায়েটরি ফাইবার। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বিদায় হতে সময় লাগে না। এছাড়া এই শাকে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে। নিয়মিত পালংশাক খেলে উপকার পাবেন।

মিষ্টি আলু

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে বাঁচতে চাইলে নিয়মিত মিষ্টি আলু খেতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, ১৫০ গ্রাম মিষ্টি আলুতে প্রায় ৩.৬ গ্রাম ফাইবার থাকে। শরীরে ফাইবারের ঘাটতি পূরণে দারুণভাবে কাজ করে মিষ্টি আলু। পর্যাপ্ত ফাইবার থাকলে মল নরম হবে। যে কারণে পেট পরিষ্কার হবে সহজেই।

ডাল​

প্রোটিনের অন্যতম উৎস হলো ডাল। তবে এই উপকারী উপাদানের পাশাপাশি ডালে আরও থাকে ফাইবার। তাই ডাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে খুব সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে ডাল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে উপকার পাবেন।