সব খাবার সময়মতো ফুরানো সম্ভব হয় না। কিছু খাবার থেকেই যায়। হয়তো অনেকদিন ধরে রান্নাঘরে পড়ে আছে, ভাবলেন, আর রেখে দিয়ে কাজ কী! এরপর সেগুলোর জায়গা হয় ময়লার ঝুড়িতে। এভাবে অনেক জিনিসই আমরা ফেলে দিই যেগুলো আসলে নষ্ট হয়নি। কিন্তু আমরা জানতেও পারি না যে সেগুলো আসলে ভালো ছিল। যে কারণে খাবারের তো অপচয় হয়ই, সেইসঙ্গে সেগুলো নতুন করে কিনতে গেলে খরচ হয় বাড়তি টাকাও। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন খাবারগুলো দীর্ঘদিন ভালো থাকে-

ডার্ক চকোলেট

যেসব খাবার দীর্ঘদিন ভালো থাকে তার ভেতরে শুরুতেই রয়েছে ডার্ক চকোলেটের নাম। এই চকোলেট ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করলে অন্তত ৪-৫ মাস ভালো থাকে। তাই অল্প কয়েকদিন গেলেই নষ্ট হয়ে গেছে ভেবে এটি ফেলে দেবেন না। এই চকোলেট  শরীরের পক্ষে ভীষণ উপকারী। এতে থাকে ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম এবং অন্যান্য আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। দামও কিন্তু সস্তা নয়। তাই ফেলে দেওয়ার আগে আরেকবার চিন্তা করুন। অযথা নষ্ট করবেন না।

মধু

যেকোনো মিষ্টি খাবার খুব বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায় না। তবে মধু সেরকম নয়। এটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। ঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে মধু নষ্ট হয় না। আর এর উপকারিতার কথা জানা আছে নিশ্চয়ই। মধু হলো প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। তাই পুরনো হলেও মধু ফেলে দেবেন না। খেতে পারবেন।

ভিনেগার

হালকা ধরনের অ্যাসিড হলো ভিনেগার। এটিও যদি মধুর মতো সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করেন তবে দীর্ঘ সময় ভালো থাকে। সাধারণ ভিনেগার তো ভালো থাকেই, এটি আপেল সাইডার ভিনেগারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভিনেগার দীর্ঘ সময় ভালো রাখতে চাইলে তা ঠান্ডা ও শুষ্ক জায়গায় রাখবেন।

লবণ

লবণের প্রয়োজন হয় প্রতিদিন। কোনো রান্নাই লবণ ছাড়া পরিপূর্ণ হয় না। শুধু তাই নয়, রান্না ছাড়াও আরও অনেক কাজে লবণ ব্যবহার করা হয়। এই লবণও কখনও নষ্ট হয় না। এটি দীর্ঘদিন ভালো থাকে। বিশুদ্ধ লবণে ব‍্যাক্টিরিয়া বাসা বাঁধতে পারে না। তাই লবণ পুরনো হয়ে গেলেও ফেলে না দিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।

ঘি

ঘি এমন একটি খাবার যা দীর্ঘদিন ধরে ভালো থাকে। তাই বাড়িতে ঘি বেশিদিন থাকলেই তা ফেলে দেবেন না। ঘি শরীরের জন্যও অনেক উপকারী। এতে থাকে প্রচুর স্যাচিওরেটেড ফ্যাট। ঘি জারে ভরে, জারের মুখ ভালোভাবে সিল করে ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় রেখে দিলেও ভালো থাকে অনেকদিন।