প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে সহজলভ্য হচ্ছে নানা ধরনের গ্যাজেট। এখন অনেকের হাতেই স্মার্টফোন দেখতে পাওয়া যায়। আর দীর্ঘ সময় ধরে স্মার্টফোনের স্ক্রিনে ডুবে থাকার মতো মানুষও কম নেই। এক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে তরুণ-তরুণীরা। রাত জেগে স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকে তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোরাঘুরি, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, পছন্দের মুভি কিংবা শো দেখা- সবকিছুই এখন করা যাচ্ছে স্মার্টফোনে। আর রাতের সময়টা অবসর থাকার কারণে ঘুম বাদ দিয়ে স্মার্টফোন ঘাঁটাঘাঁটি করেই পার করছে তারা।

চোখে সমস্যা হলে কী করবেন?

যদি দেখেন আপনার প্রায়ই চোখে সমস্যা হচ্ছে, চোখ দিয়ে পানি পড়ছে কিংবা চোখ লাল হয়ে ব্যথা করছে, কখনোবা দেখতে সমস্যা হচ্ছে তবে এর পেছনে কারণ হতে পারে স্মার্টফোন! কীভাবে? আমাদের চোখের রক্তচাপ হঠাৎই বেড়ে গেলে রক্তজালিকা ছিঁড়ে যেতে পারে, এমনকী চোখে দেখা দিতে পারে শুষ্কভাব। এর কারণ কিন্তু স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটারের অতিরিক্ত ব্যবহার। বর্তমানে এমন সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। তাই আগেভাগে সতর্ক হওয়াই উত্তম।

ঘুমের আগে স্মার্টফোন নয়

রাতে বিছানায় শুয়ে শুয়ে ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করতে ভালোলাগে? কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই অভ্যাসই আপনার বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ফোনের নীলচে আলো আমাদের মস্তিষ্কের কাজে বাঁধা প্রদান করে। তাই ঘুম সহজে আসতে চায় না। এছাড়া বাঁধাগ্রস্ত হয় চোখের ভেতরের রক্ত সঞ্চালনও। তাই রাতের বেলা স্মার্টফোন থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন।

ওজন ও অসুখ বাড়ার ভয়

রাত জেগে থাকবেন আর ক্ষুধা লাগবে না তা কি হয়? রাতে না ঘুমিয়ে ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করলে একটা সময় ক্ষুধা লাগে। আর তখন ফ্রিজ খুলে খাওয়ার মতো কিছু একটা পেলেই খেয়ে নেন। এমনটা তো হয়ই! কিন্তু সেসব খাবার ঠিকমতো হজম হতে চায় না। আবার ভুলভাল খাওয়ার কারণে ওজনও বাড়ে হু হু করে। এছাড়াও দেখা দিতে পারে টাইপ টু ডায়াবেটিসের মতো রোগও। তাই রাতজাগা বন্ধ করুন। আর ফোন তো দূরে রাখবেনই।

কখন ফোন দূরে রাখবেন?

ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ঘণ্টা দুই আগে মোবাইল কিংবা কম্পিউটার থেকে দূরে থাকতে বলছেন চিকিৎসকেরা। কারণ এতে ঘুমে ব্যাঘ্যাত ঘটে। আর রাতে ভালো ঘুম না হলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। হতে পারে মারাত্মক সব ব্যাধিও।