শীতের সময়ে চুল পড়ার পরিমাণ কিছুটা বাড়ে। এটি অস্বাভাবিক নয়। কারণ এই সময়ে আবহাওয়া অনেকটাই রুক্ষ হয়ে যায়। বাতাসে বাড়ে শুষ্কতার পরিমাণ। যার প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বক আর চুলেও। শীতের সময়ে যদি আপনার চুল পড়ার পরিমাণ অনেক বেশি বেড়ে যায় তাহলে কেমিক্যালযুক্ত উপকরণ ব্যবহার না করে বেছে নিতে পারেন ঘরোয়া উপায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতে অতিরিক্ত চুল পড়ার কিছু সহজ ঘরোয়া সমাধান-

১. ডিম খান

প্রতিদিন ডিম খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। তার মধ্যে একটি হলো এই খাবার চুলের জন্যেও অত্যন্ত ভালো। ডিমে থাকা প্রোটিন, জিঙ্কের মতো পুষ্টি উপাদান চুলে পুষ্টি দিতে সাহায্য করে ও চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করে। তাই শীতে চুল পড়া রুখতে নিয়মিত ডিম খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় অন্তত একটি ডিম রাখুন। এতে দ্রুতই উপকার পাবেন।

২. পালং শাক রাখুন পাতে

সব শাকই কম-বেশি উপকারী। তার মধ্যে একটি হলো পালং শাক। এই শাক নিয়মিত খেলে অনেক উপকার মেলে। কারণ পালং শাকে থাকে প্রচুর ফোলেট, ভিটামিন এ এবং সি। এই উপকারী উপাদানগুলো চুল পড়া রোধ করতে দারুণ কার্যকরী। নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখুন এই শাক। এতে চুল পড়ার পরিমাণ অনেকটাই কমে আসবে।

৩. মিষ্টি আলুও উপকারী

চুল পড়া বন্ধ করতে যেসব খাবার কার্যকরী তার মধ্যে একটি হলো মিষ্টি আলু। মিষ্টি আলুতে আছে বিটা ক্যারোটিন। এই উপাদান সিবাম উৎপাদনে সাহায্য করে যা মাথার ত্বককে সুস্থ রাখতে দারুণ কার্যকরী। যে কারণে নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে তা চুল ঝরে পড়া বন্ধ করে। বুঝতেই পারছেন, কেন এই শীতে আপনাকে নিয়মিত মিষ্টি আলু রাখতে হবে খাবারের তালিকায়?

৪. বাদাম খাবেন নিয়মিত

প্রতিদিন একমুঠো বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন। বাদামে থাকে প্রচুর ভিটামিন বি, জিঙ্ক এবং ফ্যাটি অ্যাসিড। যা চুল মজবুত করতে অত্যন্ত সাহায্য করে। যে কারণে অস্বাভাবিক চুল পড়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে আসে। এই শীতে বাদাম রাখুন আপনার খাবারের তালিকায়।

৫. অ্যাভোকাডো খেতে পারেন

বিদেশি ফল অ্যাভোকাডো। তবে এটি এখন আমাদের দেশেও মোটামুটি সহজলভ্য। আপনি যদি শীতে চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তবে এই ফল রাখতে পারেন খাবারের তালিকায়। কারণ অ্যাভোকাডোতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা মাথার ত্বককে অক্সিডেটিভ ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে। যে কারণে চুল ঝরে পড়া থেকে রক্ষা পায়।