প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর মাধ্যমে মস্তিষ্ক ও শারীরিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বিশ্রাম হয়। সারাদিন একটানা পরিশ্রমের পর ঘুমাতে যায় মানুষ। কিন্তু এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা চেষ্টা করে চোখে ঘুম আনতে পারেন না। বিছানায় এপাশ ওপাশ করে তাদের রাত পার হয়ে যায়। ঘুম না হওয়ার এ সমস্যাকে ইনসোমনিয়া হিসেবে অভিহিত করা হয়। 

ঘুম না আসার পেছনে অবসাদগ্রস্ততা, দুশ্চিন্তা এবং দীর্ঘ সময় ধরে স্মার্টফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার দায়ী হতে পারে। ঘুম না এলে অনেকে ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেন। কিন্তু চিকিৎসকরা বলে থাকেন, প্রতিদিন ঘুমের ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস ভালো নয়। এছাড়া ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। রাতে সহজে ঘুমানোর জন্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা কিছু খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। জেনে নিন সেসব সম্পর্কে- 

আখরোট

হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী খাবার আখরোট। গবেষণায় দেখা গেছে, ফলটি খাওয়ার কারণে রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হয়। হৃদরোগ এবং অনিদ্রার রোগীদের চিকিৎসকরা আখরোট খাওয়ার পরামর্শ দেন। 

কলা

অনিদ্রা বা ইনসোমনিয়া প্রতিরোধে সহায়তা করে কলা। এতে ম্যাগনেসিয়াম, সেরোটোনিন ও মেলাটোনিন থাকে। যা দ্রুত ঘুম নিয়ে আসে। ঘুমানোর আগে প্রতিদিন অন্তত একটি কলা খাওয়া উচিত। ঠান্ডা দুধের সঙ্গে কলা ব্লেন্ড খেলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। 

তুলসি

তুলসি পাতার রস ঘুমের জন্য উপকারী। এতে হাইড্রা অ্যালকোহলিক এক্সট্র্যাক্ট ও এসেনসিয়াল অয়েল রয়েছে। নিয়মিত তুলসি পাতার রস খেলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়ে যাবে। 

গরম দুধ

গরম দুধে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং ট্রিপটোফ্যান। খাবারের এসব উপাদান দ্রুত ঘুম নিয়ে আসে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অনিদ্রার সমস্যা দূর করার জন্য গরম দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। 

ডাবের পানি

শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে ডাবের পানি- এ কথা সবাই জানেন। এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম। অনিদ্রার সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য ডাবের পানি উপকারী একটি খাবার। 

চিকিৎসকরা বলেন, অনিদ্রা থেকে বাঁচার জন্য ঘুমানোর অন্তত দেড় থেকে দুই ঘণ্টা আগে প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকা জরুরি। স্মার্টফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমাতে গেলে মস্তিষ্কের ওপর চাপ পড়ে। তাই কম্পিউটারে কাজ করার পর কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে তারপর ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। এছাড়া ঘুমানোর আগে চা-কফি খাওয়া উচিত নয়। এসব টিপস মেনে চললে রাতে সহজেই ঘুম আসবে।

এইচএকে/এইচএন/এএ