নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করা জরুরি। বাইরে বের হলে দূষণ, রোদ, ধুলোবালি আমাদের ত্বকে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তাই ত্বক পরিষ্কার করার জন্য নিতে হয় বাড়তি যত্ন। সেইসঙ্গে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার অভ্যাসও রাখতে হবে। তবে সেই মুখ পরিষ্কারেরও রয়েছে কিছু নিয়ম। সেগুলো মেনে চললে ত্বক ভালো রাখা সহজ হবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক মুখ পরিষ্কারের সময় কোন নিয়মগুলো মেনে চলবেন-

গরম পানি ব্যবহার করবেন না

অনেকে মুখ পরিষ্কার করার জন্য গরম পানি বেছে নেন। এই কাজ কখনোই করবেন না। মুখ পরিষ্কার করার জন্য কখনো গরম পানি ব্যবহার করবেন না। কারণ এতে উপকারের বদলে ক্ষতি হতে পারে বেশি। মুখ পরিষ্কার করার জন্য ঠান্ডা, স্বাভাবিক তাপমাত্রা কিংবা হালকা গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন। এগুলোই উপকারী। সেইসঙ্গে মুখ ধোয়ার সময় অবশ্যই আপনার ত্বকের জন্য সঠিক ক্লিনজার বেছে নিতে হবে।

ক্লিনজার ব্যবহার

মুখে ক্লিনজার ব্যবহারেরও রয়েছে কিছু নিয়ম। ক্লিনজার হাতে নিয়েই মুখে মেখে নেবেন না। বরং শুরুতে পানি দিয়ে মুখ ভিজিয়ে নিতে হবে। তারপর সার্কুলার মোশনে অর্থাৎ আঙুলগুলো গোল করে ঘুরিয়ে ক্লিনজারটি মুখের টি-জোন ও জো-লাইন-সহ পুরো মুখে ঘষে নিতে হবে। এভাবে ব্যবহার করলে ত্বকের গভীরে লুকিয়ে থাকা ময়লা সহজেই বের হয়ে আসবে।

কতক্ষণ ব্যবহার করবেন?

মুখ পরিষ্কারের জন্য ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ কি অনেক সময় ধরে মুখে মাখতে হয়? নাকি অল্প সময়ই যথেষ্ট। অনেকেই এর সময়ের দৈর্ঘ্য সম্পর্কে জানেন না। খুব বেশিক্ষণ প্রয়োজন নেই, ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ মুখে ঘষতে পারেন প্রায় ৩০ সেকেন্ড। এরপর পুরো মুখ পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর তোয়ালে দিয়ে মুখ না মুছে বরং হালকা ও পরিষ্কার সুতির কাপড় দিয়ে আলতো হাতে মুখ মুছে নিন।

কাঁচা দুধ দিয়ে মুখ পরিষ্কার

অনেকেই আছেন যাদের ত্বক অনেক বেশি তৈলাক্ত। এ ধরনের ত্বক নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। এ ধরনের সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা নিয়মিত কাঁচা দুধ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে পারেন। সেজন্য যা করতে হবে তা হলো, একটি পাত্রে কাঁচা দুধ নিয়ে তাতে এক টুকরো তুলা ডুবিয়ে তা দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নেওয়া। এতে আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে, বাড়বে উজ্জ্বলতাও।

এইচএন