দ্রুত সময়ে রান্নার জন্য প্রেসার কুকারের বিকল্প নেই। রান্নার কাজে প্রেসার কুকার ব্যবহার করলে সময় বাঁচে অনেকটাই। যেসব খাবার সেদ্ধ হতে বেশি সময় নেয়, সেসব খাবার রান্নার কাজে এই বিশেষ পাত্র ব্যবহার করা হয়। তবে কিছু খাবার রয়েছে যা কখনোই প্রেসার কুকারে রান্না করা উচিত নয়। কারণ তাতে সেসব খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়, এমনকী বড় কোনো দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক কোন খাবারগুলো প্রেসার কুকারে রান্না করবেন না-

ডিম সেদ্ধ করবেন না

ডিম সেদ্ধ হতে এমনিতেই কম সময় লাগে। তবু যদি আপনি সময় বাঁচানোর জন্য প্রেসার কুকারে ডিম সেদ্ধ করতে যান, তাহলে কিন্তু ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। তাই ডিম সেদ্ধ করার দরকার হলে সাধারণ পাত্রেই করুন। দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে ডিম সেদ্ধ করার কাজে প্রেসার কুকারের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।

প্রেসার কুকারে মাছ রান্না নয়

মাছ রাঁধাও বেশ সহজ কাজ। খুব যে বেশি সময় লাগে তা কিন্তু নয়। মাছ যদি অতিরিক্ত সময় রান্না করা হয় তবে এর পুষ্টিমান অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়, মাছ ভেঙে যেতে পারে। রান্নার শেষে দেখতে খারাপ লাগে, স্বাদও নষ্ট হয়। তাই মাছ রান্নার কাজে প্রেসার কুকার ব্যবহার করবেন না।

দুধ গরম করবেন না

দুধ চুলায় দিলে একটা সময় ফুটতে শুরু করে। আর তখনই তা উপচে পড়ার উপক্রম হয়। তাই দুধ বা দুধের তৈরি কোনো খাবার প্রেসার কুকারে দেবেন না। এ ধরনের খাবার প্রেসার কুকারে রাঁধতে গেলে দুধের সর আটকে গিয়ে ব্লাস্ট হতে পারে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে প্রেসার কুকারে দুধ জাতীয় খাবার রান্না করবেন না।

ফল ও সবজি দেবেন না

শাক-সবজি বা ফল জাতীয় খাবার প্রেসার কুকারে রান্না করলে সেসবের পুষ্টি আর অবশিষ্ট থাকে না। এসব খাবার প্রেসার কুকারে দিলে ভিটামিন, মিনারেলসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়ে যায় একেবারেই। তাই এ জাতীয় খাবার প্রেসার কুকারে রান্না না করাই ভালো।

লক্ষ্য করুন

প্রেসার কুকারে রান্নার সময় খেয়াল রাখতে হবে আরও কিছু বিষয়ের প্রতি। রান্নার আগে ঢাকনা ঠিকভাবে বসেছে কি-না তা দেখে নিন। নয়তো খাবার সেদ্ধ হওয়ার বদলে পুড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। আবার রান্না শেষে সঙ্গে সঙ্গে ঢাকনা খুলতে যাবেন না। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ভেতরের বাষ্প বের হওয়ার সময় দিন। এরপর ঢাকনা খুলে নিন।