শীতের সময় আমাদের ত্বক দ্রুত শুষ্ক হয়ে পড়ে। এর কারণ হলো শীতে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেক কমে যায়। ফলে তার প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বকে। ত্বকের শুষ্কতা থেকে দেখা দিতে পারে চুলকানি। শীতের সময়ে পানি কম খাওয়া হয়, ফলে দেখা দিতে পারে ত্বকের শুষ্কতা। অনেক সময় লোশন-তেল কিংবা ময়েশ্চারাইজার মেখেও মেলে না মুক্তি। 

বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে শীতের সময়টাতে একটু বেশি সচেতন হতে হবে। কারণ এসময় একটু উদাসীন হলেই দেখা দিতে পারে ত্বকের নানা সমস্যা। ত্বকের শুষ্কতা থেকে চুলকানি হলে তা হয়ে দাঁড়াও যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ। তাই এসময় খাবার, গোসল, প্রসাধনী ইত্যদির ক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। চলুন জেনে নেয়া যাক শীতে ত্বকের চুলকানি থেকে বাঁচার উপায়-

শীতে যা খাবেন

শীতের সময়ে একটু মুখরোচক খাবার খেতেই যেন বেশি ভালোলাগে। গরম গরম পুরি-পাকোড়া হলে তো কথাই নেই! কিন্তু এসব খেয়ে পেট ভরালে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার রুচি চলে যায়। ফলে কমতে থাকে ত্বকের আর্দ্রতা। ত্বক শুষ্ক হলে চুলকানি তো হবেই! এই সমস্যা থেকে বাঁচতে সচেতন হতে হবে খাবারের ক্ষেত্রে। খেতে হবে অ্যান্টিক্সিড্যান্ট ও ন্যাচারাল ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার। শীতের নানা সবজি ও ফল নিয়মিত রাখতে হবে খাবারের তালিকায়। এসময়ে যেসব মাছ বাজারে পাওয়া যায় সেসব রাখতে হবে পাতে। শীত বলে পানি পানে অনিয়ম করা চলবে না। প্রতিদিন অন্তত আট গ্লাস পানি পান করতে হবে। যেসব খাবারে পানির পরিমাণ বেশি, সেসব খেতে হবে।

শীতে কেমন কাপড় পরবেন

অনেক সময় শীতের পোশাকের কারণে চুলকানি বাড়তে পারে। তাই খেয়াল রাখুন পোশাকের কারণে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি-না। যদি উল বা গরম কাপড় পরলে চুলকানির সমস্যা হয় তবে প্রথমে সুতির জামা পরে তার উপরে শীতের পোশাক পরুন।

গোসলের পরে করণীয়

শীতে অতিরিক্ত সুগন্ধযুক্ত সাবান ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। এর বদলে চেষ্টা করুন কোমল কোনো সাবান ব্যবহার করার। গোসল শেষে ভেজা শরীরে খাঁটি নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। এরপর শরীরে ঠান্ডা পানি ঢেলে হালকা হাতে মুছে ফেলুন। এতে ত্বক বেশি সময় আর্দ্রতা ধরে রাখবে। চুলকানির সমস্যা দূরে থাকবে। গোসলের পরপরই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। ত্বক তৈলাক্ত হলে হালকা গন্ধের জেল বেস্ড লোশন ব্যবহার করুন। আর ত্বকের ধরণ শুষ্ক হলে ক্রিম বেস্ড লোশন ব্যবহার করুন।

গরম পানিতে গোসল করা যাবে?

শীতে ঠান্ডার ভয়ে অনেকেই গরম পানিতে গোসল করে থাকেন। কিন্তু এই অভ্যাস উপকারী নয় মোটেই। গরম পানিতে গোসল করলে শরীর দ্রুত শুষ্কতা হারায়। একান্তই গরম পানি ব্যবহার করতে হলে গোসল সারুন দ্রুত। আর পানি হালকা গরম হলেই যথেষ্ট। খুব বেশি গরম পানিতে গোসল এড়িয়ে চলতে হবে।