প্রেমের সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য সারাজীবন একসঙ্গে থাকতে চাওয়া। বিয়ের প্রতিশ্রুতি নিয়েই বেশিরভাগ মানুষ প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে চায়। বাকি জীবন ঠিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করতে চান দুজনে মিলে। কিন্তু খুব ছোট ছোট কথায় সম্পর্কে বোঝাপড়ার অভাব দেখা দেয়। মাঝেমধ্যেই বিচ্ছেদের চিন্তা বিভ্রান্ত করে তোলে অনেককে। চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কয়েকটি প্রশ্ন করা যেতে পারে নিজেকে। সম্পর্কে যেমন বিশ্বাস প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন দুটি মানুষের মধ্যে স্বচ্ছতা।

হতেই পারে কোনো একটা নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে দুজনের মতের অমিল আছে। ‌তার মানে এই নয় মানুষটা খারাপ। কথা বলে নিজেরা একটা মধ্যস্থতায় আসা যেতে পারে। কিন্তু এই কথা বলাটাই যখন হয় না তখনই বাড়ে জটিলতা। অনেকেই মনে করেন সমস্যা এড়িয়ে গেলে বা সমস্যা নিয়ে কথা না বললে সময়ের সঙ্গে তা মিটে যাবে। আসলে হয় হিতে বিপরীত। সমস্যা না মেটালে তা ক্রমে বাড়তে থাকে। বাড়ে দুজনের মধ্যে দূরত্ব। তখন হয় বিচ্ছেদ।

এ অবস্থায় করণীয়

সম্পর্ক থেকে আপনি কী চান বা চাচ্ছেন সে প্রশ্ন আগে নিজেকে করুন। এতে আপনার উদ্দেশ্য নিয়ে একটা ধারণা তৈরি হবে। এরপর কথা বলুন সঙ্গীর সঙ্গে। মিথ্যে কথা যেকোনও সম্পর্কের জটিলতা বাড়িয়ে দেয়। চেষ্টা করুন স্বচ্ছ থাকতে। দুটি মানুষের মধ্যে বিশ্বাস একদিনে গড়ে ওঠে না। একে অপরকে সময় দেওয়া জরুরি।

সম্পর্কে দ্বন্দ্ব থাকবেই। দেখতে হবে কতটা ম্যাচিওরিটির ও‌ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে আপনারা সেটা সামাল দিচ্ছেন। নিজেদের সমস্যা মেটাতে হবে নিজেদেরকেই। প্রয়োজনে প্রফেশনাল হেল্প নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে ইতিবাচক মনোভাব রাখতে হবে। ইগো ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হবে।

ছোট থেকে প্রত্যেকটা মানুষের জীবনেই একটা ধারণা তৈরি হয়। পোশাকি ভাষায় আমরা তাকে বলি জীবনের প্রিন্সিপাল। নিজেদের ধারণা অবিশ্বাস নিয়ে কথা বলুন। তবে মনে রাখবেন জোর করে অন্তত সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যায় না। এক পাহাড় ভুল বোঝাবুঝি বুকে জমিয়ে না রেখে মন খুলে কথা বলুন।

ভালোবাসার সম্পর্কে ভালোবাসাটাই সবচেয়ে সুন্দর। তাই ভালোবাসুন। হিসাব-নিকাশে না গিয়ে কেবল ভালোবাসাটাকেই মুখ্য করে দেখুন। এতে সম্পর্ক যেমন সুন্দর থাকবে তেমন সব রকম ঝড় সামলে চলা সহজ হবে। পরস্পরের অনুভূতি বুঝতে চেষ্টা করুন। সমস্যা এলে দুজন মিলে তা সমাধান করতে চেষ্টা করুন। একটি সম্পর্ক বাঁচাতে দুজনের আন্তরিকতাই থাকতে হবে। নয়তো তা খুব বেশি দূর এগিয়ে যাবে না।

পিএইচ