বাইরে খেতে যাওয়া আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা। রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার মানে হলো নতুন নতুন পদের খাবার খাওয়া। কিন্তু যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের জন্য এটি আনন্দদায়ক নাও হতে পারে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নির্দিষ্ট ডায়েট অনুসরণ করতে হয়। রেস্তোঁরাগুলোতে বিভিন্ন ধরণের খাবার থাকে এবং সেখান থেকে আপনার জন্য কী সঠিক তা আপনি জানেন না। অবশ্য আপনি এ সম্পর্কে রেস্টুরেন্ট কর্মীদের জিজ্ঞাসা করতে পারেন। তবে আরও অনেক বিষয় রয়েছে যা আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. হোল ফুড বেছে নিন
বাইরে খাওয়ার সময় অবশ্যই হোল ফুড বেছে নিতে হবে। প্রসেসড ফুডের বদলে এ ধরনের খাবার নির্বাচন করুন। এ ধরনের খাবারে কোনো স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা চিনি থাকে না, তাই এগুলো অস্বাস্থ্যকর হওয়ার ভয় নেই। প্রসেসড ফুডের তুলনায় হোল ফুডে প্রয়োজনীয় পুষ্টির পরিমাণ বেশি এবং রক্তে শর্করার আকস্মিক বৃদ্ধি ঘটায় না। ফল, সবজিসহ খাবার, গোটা শস্য, প্রক্রিয়াবিহীন মাংস ইত্যাদি বেছে নিন।

২. কার্বোহাইড্রেট/চর্বি সম্পর্কে সতর্ক থাকুন
কার্বোহাইড্রেট এবং চর্বি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ বলে জানেন অনেকেই। কিন্তু ব্যাপারটা এমন নয়। জটিল কার্বোহাইড্রেট এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নিতে হবে। প্রসেসড কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার যেমন রুটি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে। অন্যদিকে কুইনোয়া এবং ব্রাউন রাইসের মতো জটিল কার্বোহাইড্রেট খেে এই ধরনের কোনো ওঠানামা করে না। তবে যেকোনো ধরণের স্যাচুরেটেড বা ট্রান্স-ফ্যাট থেকে দূরে থাকবেন।

৩. চিনির দিকে নজর রাখুন
ডায়াবেটিস রোগীদের যতটা সম্ভব চিনি খাওয়া সীমিত করা উচিত। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন রয়েছে এই তালিকায়। আপনাকে অবশ্যই চিনি যুক্ত খাবারের দিকেও নজর রাখতে হবে। কখনো কখনো আপনার থালায় কিছু চিনি দেওয়া খাবার থাকতে পারে। টমেটো কেচাপ এর একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। অতিরিক্ত চিনি খাওয়া এড়াতে, আপনার অর্ডার দেওয়ার আগে রেস্তোরাঁর কর্মীদের উপাদান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে নিন। এমনকি আপনি তাদের পরিমাণ কমাতে বা এটি মোটেও যোগ না করতে বলতে পারেন।

এইচএন