দূষণ এবং তাপমাত্রার বৃদ্ধির কারণে তা আপনার ত্বককে নিস্তেজ এবং রুক্ষ করে তুলতে পারে। আমাদের ব্যস্ত সময়সূচীর কারণে মাল্টিটাস্ক করা কঠিন হয়ে পড়ে। যে কারণে আমরা বেশিরভাগ সময়েই ত্বকের যত্ন নিতে ভুলে যাই। তবে খুব বেশি কিছু করতে হবে না যদি আপনি নিজের খাবারের দিকে খেয়াল রাখতে পারেন। আপনার প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে পারেন। আপনার তৈলাক্ত ত্বক হয় তবে কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন-

১. দুধ

দুধ আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তবে এটি ত্বকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে কারণ এতে হরমোন টেস্টোস্টেরন সম্পর্কিত উপাদান রয়েছে। যা ত্বকে তেল গ্রন্থিগুলোকে উদ্দীপিত করে, ত্বককে তৈলাক্ত এবং চর্বিযুক্ত করে তোলে।

২. মাংস

মাংসে খুব উচ্চ সোডিয়ামের মাত্রা রয়েছে, যা পানি ধরে রাখতে পারে। যে কারণে নিয়মিত মাংস খেলে তা ত্বকের আরও ফোলাভাব এবং চর্বি সৃষ্টি করে। যার ফলে আপনার ত্বককে অত্যন্ত তৈলাক্ত দেখায়। রেড মিটে রয়েছে সোডিয়াম যা তেল নিঃসরণ বাড়ায়।

৩. সয়া

সয়াতে ফাইটোস্ট্রোজেন রয়েছে, যা হরমোনের ভারসাম্যকে ব্যাহত করতে পারে। এই ভারসাম্যহীনতা ত্বককে তৈলাক্ত করে তুলতে পারে এবং ব্রণ হতে পারে। তাই আপনার ত্বক তৈলাক্ত হলে সয়া এড়িয়ে চলুন। এতে ত্বক ভালো রাখা সহজ হবে।

৪. চকোলেট

কে চকোলেট পছন্দ করে না? কিন্তু কিছু চকোলেটে অতিরিক্ত মিষ্টি যোগ করা হয়, যা আপনার ত্বককে তৈলাক্ত করে তোলে। যার ফলে ব্রণ এবং ব্রণ হয়। তাই চকোলেট খাওয়ার ক্ষেত্রেও হতে হবে সচেতন। খেতে হবে বুঝেশুনে।

৫. পরিশোধিত শস্য

ময়দার মতো পরিশোধিত শস্য আপনার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে কারণ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। যা তৈলাক্ত ত্বকের দিকে কারণ হতে পারে। তাই তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা এড়াতে এ ধরনের খাবার বাদ দেওয়াই ভালো।

৬. গম

গমে গ্লুটেন এবং ফাইটিক অ্যাসিড বেশি বলে মনে করা হয়, যা হজমে অসুবিধা সৃষ্টি করে। বদহজম পুষ্টি শোষণের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে, যা ত্বককে প্রভাবিত করে। তাই তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে গম দিয়ে তৈরি খাবার এড়িয়ে চলুন।

৭. চিংড়ি

চিংড়িতে অ্যালার্জেন থাকে, যার ফলে ব্রণ এবং ফ্যাট হতে পারে। অন্যদিকে, চিংড়িতেও উচ্চ মাত্রার আয়োডিন থাকে, যা ত্বকে ফুসকুড়ি কারণ হতে পারে। তাই চিংড়ি খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত প্রকৃতির হয়ে থাকে।

এইচএন