মানুষ একা থাকতে পারে না। সে কারণে মানুষ একে অন্যের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলে। কোনো সম্পর্ক তৈরি করার জন্য সময় দিতে হয়। কিন্তু মাত্র কয়েক মুহূর্তেই সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার জন্য মানুষের কিছু অভ্যাস দায়ী। কিছু অভ্যাস রয়েছে যেগুলোর কারণে প্রেম অথবা বৈবাহিক সম্পর্ক শেষ হয়ে যেতে পারে।

ভুল ধরা
কোনো মানুষ নিজের সমালোচনা শুনতে পছন্দ করেন না। কিন্তু এমন অনেকেই রয়েছেন যারা প্রতিনিয়ত ভালোবাসার মানুষের সমালোচনা করতে থাকেন। পান থেকে চুন খসলেই সঙ্গীর ভুল ধরতে গেলে সম্পর্কে সৃষ্টি হয় তিক্ততা। প্রথম দিকে সমালোচনার বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারেন, দিনশেষে সে এসব মুখ বুজে সহ্য করবে না।

কম কথা বলা
কোনো বিষয় নিয়ে সঙ্গীর সঙ্গে অভিমান হলে অনেকেই চুপচাপ বসে থাকেন। মনে মনে গালমন্দ করতে থাকেন। কিন্তু মনের ভাষা বোঝার ক্ষমতা কোনো মানুষের নেই। তাই চুপচাপ বসে না থেকে খোলাখুলি কথা বলাই শ্রেয়। চুপচাপ বসে থাকলে সম্পর্কে জটিলতা সৃষ্টি হয়।

সঙ্গীর খারাপ দিক তুলে ধরা
একজন মানুষ কেবল খারাপ কাজ করেন না। ভালো ও খারাপ সবই তার কাজের মধ্যে পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু সবসময় যদি সঙ্গীর খারাপ বৈশিষ্ট্যগুলো নিয়ে কথা উঠতে থাকে, তাহলে সম্পর্ক আর এগোয় না। তাই সঙ্গীর সমালোচনা না করে তার ভালো কিছু বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করার চেষ্টা করুন।

পরিবর্তনের চেষ্টা করা
সব মানুষ একই রকম হবে- এমন আশা করা বোকামি। সঙ্গীকে পরিবর্তনের চেষ্টা করলে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। সঙ্গী যেমনই হোক, তার সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রাখুন। সঙ্গীর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। তার সবকিছু পরিবর্তনের চেষ্টা করবেন না।

রাগ প্রকাশ না করা
অনেকে রাগ প্রকাশ করেন না। মনে রাখবেন, সম্পর্কে দুজনেরই রাগ হতে পারে। প্রয়োজনীয় মুহূর্তে রাগ চেপে রাখলে সেটি পরে বড় আকার ধারণ করে। তাই ছোট বিষয়গুলো নিয়ে রাগ হলে সেটি তাৎক্ষণিকভাবে শেষ করে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

দোষারোপ করা
অনেকে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করতে থাকেন। কারও কোনো ভুল পেলেই তার দোষারোপ করা ঠিক নয়। এতে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। তাই সঙ্গীকে মূল্যায়ন করা উচিত। মনে রাখবেন, কোনো মানুষই ভুলের উর্ধ্বে নয়। সঙ্গীকে দোষারোপ না করে হাতে হাত মিলিয়ে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করুন।

নিজের মত অন্যের ওপর চাপানো
গোঁড়ামি, অসহিষ্ণুতা ও অহংবোধ থাকার কারণে বিষিয়ে ওঠে ভালোবাসার সম্পর্ক। ‘আমিই সঠিক’- এ ভাবনা সম্পর্ক নষ্টের অন্যতম কারণ। নিজের মতকে অন্যের ওপর চাপানোর চেষ্টা করলে তিক্ততা বাড়ে। ভালোবাসতে হলে সঙ্গীর মতামতের প্রতি সম্মান জানাতে হবে।

আত্মবিশ্বাস না থাকা
আত্মবিশ্বাস না থাকলে সঙ্গীর কাছে বিশ্বস্ত হওয়া সম্ভব নয়। সম্পর্ক শুরু করলে শেষ পর্যন্ত যেতে হবে। কিন্তু অনেকে সেটি করতে ভয় পান। আত্মবিশ্বাসহীন মানুষের সঙ্গে কেউ সম্পর্ক রাখতে চান না।

নিজেকে প্রাধান্য দেওয়া
সম্পর্ক দুজন মানুষকে নিয়ে গড়ে ওঠে। গুরুত্ব না পেলে সঙ্গী কষ্ট পেতে পারেন। সবসময় নিজেকে প্রাধান্য দিলে সম্পর্ক এগোয় না। তাই সঙ্গীকে মূল্যায়ন করুন। 

তুলনা করা
কারও সঙ্গে তুলনা করা খারাপ অভ্যাসগুলোর অন্যতম। অন্যদের সঙ্গে তুলনা করলে সঙ্গী বিব্রত হতে পারেন অথবা কষ্ট পেতে পারেন। এতে সঙ্গীর আত্মবিশ্বাসেও প্রভাব পড়তে পারে। ধীরে ধীরে সম্পর্কে তিক্ততা সৃষ্টি হতে পারে।

এইচএকে/এইচএন/এএ