মন খারাপের দিনে এসেছে ঈদ। প্রতিদিনই কোনো না কোনো দুঃসংবাদ শুনতে হচ্ছে আমাদের। ঈদ মানে যে প্রিয়জনের কাছে ফেরা, এবার তা হবে না অনেকেরই। দূর থেকেই ফোনে প্রিয়জনের কণ্ঠ শুনে কিংবা ভিডিও কলে প্রিয় মুখটি দেখে কাটাতে হবে ঈদের দিনটি। মহামারির এই সময়ে বাইরে না বের হওয়াই যে উত্তম! তবু ঈদের একটি দিন, বছরের অন্যান্য দিনের মতো তো নয়। নিরাপদে ঘরেই থাকুন। তবে নিজেকে একটু সাজিয়ে তুলতে দোষের কিছু নেই। নিজেকে সুন্দর ও পরিপাটি করে রাখলে ভালো থাকবে মনও। ভুলে থাকা যাবে নানা অনিশ্চয়তা, অস্থিরতা।

ঈদের সকালে

ঈদের সকাল মানে একটি আনন্দময় দিনের শুরু। শুরুটা যেন স্নিগ্ধ হয় সেই প্রচেষ্টা থাকতে হবে। এমনভাবে সাজুন যেন দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। ঈদে যদি নতুন পোশাকও না-ও কেনা হয়ে থাকে, মন খারাপ করবেন না। আপনার আলমারিতে এমন অনেক পোশাক নিশ্চয়ই তোলা রয়েছে যেগুলো এক-দুইবারের বেশি পরা হয়নি। সেখান থেকেই একটি বেছে নিন। আর যদি নতুন পোশাক থাকে তবে সেটি পরুন। সকালের পোশাক ছিমছাম হলেই বেশি ভালো লাগে। পরতে পারেন হালকা রঙের কোনো শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজ। মুখে সামান্য ফেস পাউডার বুলিয়ে নিতে পারেন। চোখে একটু কাজলের রেখা। ঠোঁটে হালকা কোনো গ্লস। গলায় আর কানে ছোট্ট পাথরের গয়না মানাবে বেশি। চুল ছেড়ে রাখতে পারেন, আবার বেণি কিংবা খোঁপা করলেও দেখতে খারাপ লাগবে না। এবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখে নিন। চমৎকৃত না হয়ে পারবেন না।

দুপুরের সাজ

ঈদের দুপুর অন্যান্য বছরের ঈদের মতো হবে না। অতিথি হয়ে কারও বাড়িতে যাওয়া হবে না কিংবা বাড়িতেও অতিথি আপ্যায়নের তাড়া থাকবে না বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। তবে মন খারাপ করে বসে থাকাও কাজের কথা নয়। নিজেদের জন্যই আয়োজন করুন বিশেষ কোনো খাবারের। তবে সেটি যেন অপচয়ের পর্যায়ে চলে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। পরিবারে যে ক’জন সদস্য রয়েছেন সবাই মিলে বসে একসঙ্গে দুপুরের আয়োজন উপভোগ করুন। দুপুরেও খানিক সাজিয়ে তুলতে পারেন নিজেকে। রান্না কিংবা বাড়ির অন্যান্য কাজের শেষে গোসল সেরে নিন। এতে অনেকটাই সতেজ অনুভব করবেন। যেহেতু গরমের সময়, তাই ভারী না সাজলেই বেশি ভালো লাগবে। দুপুরের সাজও হালকা থাকুক। তুলে রাখা কোনো গয়না থাকলে পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং করে পরতে পারেন। অনেকদিন যে চুড়িগুলো পরা হয় না, সেগুলো আলগোছে পরে নিতে পারেন। দেখতে সুন্দর লাগবে।

রাতের সাজ কি জমকালো হবে?

উৎসবের রাতের সাজ মানেই জমকালো আর নজরকাড়া। এবছরও কি তাই হবে? এটি নির্ভর করছে আপনার ওপর। যদি আপনি অনেক বেশি সেজে মন ভালো করতে চান, বাধা নেই। আবার যদি মনে করেন খুব বেশি সাজের দরকার নেই তবে সেটিও হতে পারে। জমকালো সাজ যেন আবার দেখতে জবরজং না লাগে সেদিকে নজর রাখবেন। জমকালো সাজেও পরিপাটি থাকা যায়। এখন হালকা রংগুলোর গ্রহণযোগ্যতা বেশি। ঠোঁট কিংবা চোখের সাজে হালকা রঙের দিকে নজর দিন। কানে ভারী কোনো দুল পরলে গলা খালি রাখুন। দেখতে সুন্দর লাগবে। রাতের সাজে শাড়ি কিংবা গাউন বেশি ভালো লাগে। তবে গরম আবহাওয়ার বিষয়টি ভুলে গেলে চলবে না। সবার আগে স্বস্তির বিষয়টি মাথায় রাখুন। 

এইচএন/এএ