গরমে শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে দইয়ের ভূমিকা রয়েছে। এসময় পানিশূন্যতা ও হিটস্ট্রোকের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব সমস্যা থেকে বাঁচাতেও সাহায্য করে দই। প্রতিদিন একবাটি দই খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এতে আছে ভিটামিন বি -২, ভিটামিন বি -১২, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম। দই শরীর ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি খাবার হজমেও সাহায্য করে। দইয়ের অনেক রকম উপকারিতা থাকার পরেও কিছু খাবারের সঙ্গে এটি মিশিয়ে খাওয়া ঠিক নয়। কারণ সেই এই খাবারগুলোর সঙ্গে দই মিশিয়ে খেলে শরীরে টক্সিন সৃষ্টি হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়-

দইয়ের সঙ্গে পেঁয়াজ খেলে কী হয়?

গরমে নানা রকম খাবারের সঙ্গে রাইতা রাখতে পছন্দ করেন অনেকে। তবে এই অভ্যাস থাকলে তা পরিবর্তন করা উচিত। কারণ দইয়ের সঙ্গে পেঁয়াজ মিশিয়ে খেলে গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকী বমিও হতে পারে। সেইসঙ্গে দেখা দিতে পারে হজমে সমস্যা। দই শরীর ঠান্ডা রাখলেও পেঁয়াজ শরীরে তাপ উৎপাদন করে। ঠান্ডা ও গরমের কারণে শরীরে অ্যালার্জি, একজিমা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। যে কারণে এই দুই খাবার একসঙ্গে খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

দইয়ের সঙ্গে আম খাবেন না যে কারণে

আম ও দই একসঙ্গে মিশিয়ে লাচ্ছি তৈরি করে থাকেন অনেকে। এটি খেতে সুস্বাদু হলেও মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। কারণ এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে শরীরে টক্সিন তৈরি হয়। কাটা আমের সঙ্গে দই মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন। এই দুই খাবারও ঠান্ডা-গরমের সমস্যা সৃষ্টি করে।

দইয়ের সঙ্গে মাছ খাওয়া যাবে কি?

দইয়ের সঙ্গে কোনো ধরনের মাছ খাওয়া যাবে না। এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই দুই খাবারই প্রোটিন সমৃদ্ধ। তাই একসঙ্গে না খাওয়াই ভালো। মাছ ও দই একসঙ্গে খেলে বদহজম হতে পারে। দেখা দিতে পারে পেটের নানা সমস্যা।

দই ও ভাজাপোড়া খাবার একসঙ্গে নয়

ভাজাপোড়া খাবারের সঙ্গে অনেকে দই খেয়ে থাকেন। এভাবে খেলে উপকারের বদলে অপকারই বেশি হয়। কারণ দই ও ভাজাপোড়া একসঙ্গে খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে। এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে তা হজমশক্তি অনেকটাই কমিয়ে দেয়। দেখা দিতে পারে ক্লান্তি ও অলসতা।

এইচএন/এএ