করোনা সংক্রমণের সবচেয়ে মারাত্মক ধাপ হলো অক্সিজেন সংকট। কারণ শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিলে যদি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তবে রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর বেশিরভাগ রোগীই শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। অক্সিজেনের সংকটকে এই মুহূর্তে গুরুতর জটিলতা বলে উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকেরা। এই সময়ে অক্সিজেনের সংকট কাটাতে প্রয়োজন খাবার গ্রহণে সচেতন থাকা। খেতে হবে এমন খাবার, যা শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ করে।

নাশপাতি, আনারস ও কিশমিশের উপকারিতা

করোনাকালে প্রচুর নাশপাতি, আনারস ও কিশমিশ খান। এসব খাবার খেলে তা শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করবে। এই খাবারগুলো পিএইচ মান ৮.৫। এগুলোতে আছে ভিটামিন এ, বি এবং সি। অ্যান্টি অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ এসব খাবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। তবে গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে আনারস এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়।

লেবু খাবেন যে কারণে

লেবু ভিটামিনের সেরা উৎস একথা প্রায় সবারই জানা। এই ফল অক্সিজেন সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যেও অন্যতম। নিয়মিত লেবু খেলে কাশি, সর্দি, ফ্লু, হার্ট বার্ন এবং ভাইরাসজনিত রোগ দূরে থাকে। লিভার ভালো রাখার জন্য লেবুর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। করোনাকালে নিয়মিত লেবু খান। এটি আপনার শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ করবে।

তরমুজ খান নিয়মিত

উপকারী ফল তরমুজ শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। এই ফলের পিএইচ মান ৯। এতে আছে ফাইবার ও প্রচুর পানি। তরমুজ খেলে তা শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। লাইকোপিন, বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি এর ভালো উৎস হলো তরমুজ। কোলন পরিষ্কার করার জন্য তরমুজ খাওয়া উচিত।

আম ও পেঁপে খেলে মিলবে উপকার

আম ও পেঁপের পিএইচ মান ৮.৫। সুস্বাদু এই দুই ফলই কিডনি পরিষ্কার করতে কাজ করে। পেঁপে অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ ও কোলন পরিষ্কার করে। এই দুই ফল অন্ত্রের ক্ষতিকারক পদার্থ ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এই সময়ে সুস্থ থাকতে এবং অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণে আম ও পেঁপে খান নিয়মিত।

ক্যাপসিকামও উপকারী

ক্যাপসিকামের পিএইচ মান ৮.৫। ক্যাপসিকামে আছে ভিটামিন এ। এই উপকারী ভিটামিন বিভিন্ন রকম রোগ ও স্ট্রেসের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। ক্যাপসিকাম তার অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল বৈশিষ্ট্যের জন্যও পরিচিত। এই সময়ে নিয়মিত ক্যাপসিকাম খাওয়ার অভ্যাস করুন। 

এইচএন/এএ