বড় আয়োজন করে বিয়ে! দীর্ঘদিন এক ছাদের নীচে থাকলেই সংসার সুখের হয় না। দিন রাত ঘুরে বেড়ানো, সামাজিক আনুষ্ঠানিকতা মেনে চলা, কিংবা ফেসবুকে টুইটারে সুন্দর ছবি আপলোড করে ‘কিউট কাপল’ কমেন্ট জুটে ঠিকই। কিন্তু সুখ? সেতো অন্য আলোচনা। সত্যিকার অর্থেই পাশের মানুষটিকে নিয়ে আপনি সুখী? নিচের প্রশ্নগুলো একবার চোখ বুলিয়ে দেখুন। মিলে গেলেই ছক্কা!

সম্পর্ক নিয়ে সঙ্গী কী ভাবছে?

সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য সঙ্গী কী ভাবছে সেটি মূল্যায়ন করতে হবে। সঙ্গীর দৃষ্টিভঙ্গী ও মতামতকে সবসময় গুরুত্ব দিতে হবে। পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে সব সিদ্ধান্ত নিন। নিজের নেওয়া সিদ্ধান্তই সঠিক- এমনটি কখনো ভাববেন না। কারও মধ্যে ছাড় দেওয়ার মনোভাব না থাকলে দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়া যায় না। 

জীবনের লক্ষ্য কী?

সাংসারিকভাবে সুখী হওয়ার জন্য জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা জরুরি। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য না থাকলে জীবন বিষিয়ে ওঠে। দু'জনেই কিছু বিষয়ে ছাড় দিন। পারস্পরিক কথাবার্তার মাধ্যমে জীবনের একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। এভাবেই আপনি দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে পারবেন। 

সঙ্গী কী চায়?

বেশিরভাগ দাম্পত্য সম্পর্কে সঙ্গী কী চায় সেটি দেখা হয় না। ফলে পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই কলহ লেগে থাকে। তার প্রভাব পড়ে সন্তানদের মধ্যে। গুরুত্ব সহকারে সঙ্গীর মতামত শুনুন। তার অনুভূতির কথা ভাবুন এবং সম্মান করুন। সঙ্গীর প্রতি সম্মান না থাকলে সাংসারিক জীবনে সুখী হওয়া যায় না। 

সঙ্গীর মনের অবস্থা কেমন?

সঙ্গীকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করুন। এতে সে আপনার সঙ্গে সব কথা শেয়ার করতে পারবে। অনেক সময় সঙ্গীর মনের অবস্থা খারাপ হলে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। তার সঙ্গীর মনের অবস্থা কেমন- সেটি বিবেচনা করা উচিত। 

এইচএকে/আরআর/এএ