রোদ আর বৃষ্টির খামখেয়ালির সঙ্গে মানিয়ে নিতে গিয়ে হঠাৎ সর্দি-কাশি দেখা দিতেই পারে। অনেকে আছেন, যাদের একটু হলেই ঠান্ডা লেগে যায়। এমন সমস্যা যদি আপনারও থাকে তবে তো কথাই নেই! যেহেতু এখন করোনা মহামারির সময়, তাই সাধারণ সর্দি-কাশিও অনেকের কাছে ভয়ের কারণ। তাই এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন অনেকে।

বর্ষাকালে স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার কারণে অ্যালার্জির প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে। এসময় খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্ক না হলে অসুখ দেখা দেওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। সর্দি-কাশির হাত থেকে বাঁচতে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চলতে পারেন। 

অনেকেই মনে করেন, ঘরে থাকা পেঁয়াজেই মিলতে পারে এই সমস্যার সমাধান। আসলেই কি পেঁয়াজ দিয়ে ঘরোয়া সমাধান কী সম্ভব?

পায়ের তলায় পেঁয়াজ বেঁধে রাখা বা মোজায় পেঁয়াজ রাখার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এটি একটি বহু পুরোনো প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা যার কোনো প্রমান পাওয়া যায়নি।

দ্য হেলদি ইন্ডিয়ান প্রজেক্ট বলছে, পুরোনো দিনে এই রকমই প্রচলিত ছিল যে মোজার মধ্যে পেঁয়াজ রাখলে বিউবনিক প্লেগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। মধ্যযুগে বিউবনিক প্লেগ রোগটির উপসর্গও ছিল জ্বর, সর্দি ও কাশি। সেই সময় থেকে চলে আসা এই অতিকথার কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমান পাওয়া যায়নি ।

দ্যা ন্যাশনাল ওনিয়ন আসোসিয়েশন এর ওয়েবসাইটে বলা আছে, “বিউবনিক প্লেগ থেকে বাঁচতে মোজায় পেঁয়াজ রাখার এই পুরোনো মিথ নিছকই গুজব এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।”

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, পেঁয়াজের আন্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদানের জন্য কিছু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকতে পারে, কিন্তু সেটা শরীরে লাগালে একই ফল হবে এরকম কোনো প্রমান নেই ।

হেলথ ও নিউট্রিশন লাইফ কোচ ভূমিকা মুখার্জী জানান, “পেঁয়াজে থাকা সালফারে একটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল প্রভাব রয়েছে। সেটি ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে আমাদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে পারে কিন্তু তার জন্য পেঁয়াজ খেতে হবে, শরীরে বেঁধে রাখলে হবে না। এই ধরণের দাবির কোনো যুক্তি নেই তাই মোজার ভিতর পেঁয়াজ রাখার মতো অপ্রমাণিত, অবৈজ্ঞানিক দাবি বিশ্বাস না করে পেঁয়াজ খাওয়াই ভালো।”