তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে সমস্যায় পড়েন অনেকে। কারণ এই ত্বকের যত্ন নেওয়া খুব সহজ নয়। আবার এ ধরনের ত্বকে অল্পতেই ধুলো-বালি আটকে যায় ফলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বেশি হতে পারে। তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের সমস্যা লেগেই থাকে। নিয়মিত পরিষ্কার না রাখলে ব্রণসহ আরও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের ত্বকে সব রকম উপাদান ব্যবহারও করা যায় না। তাই যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে হতে হবে সতর্ক।

শসার রসে রূপচর্চা

আপনি যদি তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারী হন তবে বাড়িতেই যত্ন নিতে পারেন। প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন শসার রস দিয়ে। এতে ত্বকের তৈলাক্তভাব দূর হবে। চাইলে শসার রসের সঙ্গে চালের গুঁড়া মিশিয়ে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকে নিয়মিত গোলাপ জল ও লেবুর মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এই দুই উপাদান মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে মিনিট ত্রিশেক পর আলতোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নেবেন। এতে ব্রণ ও ফুসকুড়ির সমস্যা থাকলে তা দূর হবে।

তৈলাক্ত ত্বকে বেসনের ব্যবহার

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে উপকারী একটি উপাদান হলো বেসন। এর সঙ্গে সামান্য টক দই ও হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার তা মুখে মেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এতে ত্বকের তৈলাক্তভাব দূর হয়ে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। বেসনের সঙ্গে শসার রস মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যালোভেরা জেলের উপকারিতা

অ্যালোভেরা জেল নানাভাবে ত্বকের উপকার করে থাকে। তৈলাক্ত ত্বক পরিষ্কার করার জন্য অ্যালোভেরা জেল উপকারী। মুখ পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার করতে পারেন এই জেল। পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন রসুনের পেস্ট। এতে আছে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবায়োটিক যা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপকারী।

লোমকূপ বড় হলে

তৈলাক্ত ত্বকে অনেক সময় লোমকূপ বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এমন সমস্যার সমাধানের জন্য ব্যবহার করতে পারেন ডিমের সাদা অংশ। সেজন্য প্রথমে ডিমের সাদা অংশ মুখে লাগিয়ে তার উপরে টিস্যু পেপার চেপে রেখে দিন মিনিট দশেক। শুকিয়ে গেলে তারপর পরিষ্কার করে নিন। এরপর একটি সুতির কাপড়ে বরফের টুকরা নিয়ে মুখে বুলিয়ে নিন। এতে লোমকূপ সহজেই বন্ধ হবে। 

গোলাপজল ও মুলতানি মাটি

সামান্য গোলাপজল ও মুলতানি মাটি একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার সেই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে পনেরো মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের তৈলাক্তভাব দূর করে এটি আরও মসৃণ করে তুলবে। মুলতানি মাটির সঙ্গে চন্দনের গুঁড়া মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। এতেও ত্বকের তৈলাক্ততা দূর হবে। 

এইচএন/এএ