বড়দিনের আয়োজন : ৫টি সহজ ও মুখরোচক ডিনার রেসিপি
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসব ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন। বাংলাদেশেও দিনটি উদযাপিত হয় ঘরোয়া আয়োজনের মধ্য দিয়ে। আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে খাবার। বাংলাদেশি রান্নাঘরের উপকরণ দিয়েই তৈরি করা যায় বড়দিনের ডিনার। এখানে পাঁচটি জনপ্রিয় রেসিপি তুলে ধরা হলো।
সবজি ও চিকেন স্কিউয়ার
বিজ্ঞাপন
এটি হালকা ও স্বাস্থ্যকর পদ। চিকেন ব্রেস্ট ও নানা রঙের সবজি লাগে। ক্যাপসিকাম, জুকিনি ও পেঁয়াজ ব্যবহার করা যায়। অলিভ অয়েল, লবণ ও গোলমরিচে হালকা ম্যারিনেশন যথেষ্ট। বাঁশের কাঠিতে গেঁথে গ্রিল বা ওভেনে রান্না করা হয়। লেবুর রস দিলে স্বাদ বাড়ে। এই পদটি অতিথিদের জন্য ভালো বিকল্প।
বিজ্ঞাপন
বড়দিনের বিশেষ চিকেন বিরিয়ানি
বিরিয়ানি ছাড়া বাংলাদেশি উৎসব কল্পনাই করা যায় না। বড়দিনেও এর ব্যতিক্রম নেই। বাসমতি চাল ও চিকেন স্টক ব্যবহার করা হয়। দারচিনি ও থাইম পাতার হালকা ঘ্রাণ থাকে। শুকনো ফল ও বাদাম আলাদা স্বাদ যোগ করে। ওভেনে ঢেকে রান্না করলে চাল ঝরঝরে হয়। গরম গরম পরিবেশনই সবচেয়ে ভালো।
চিকেন পোলাও (মোরগ পোলাও)
উৎসবের পুরোনো পরিচিত খাবার চিকেন পোলাও। বাসমতি চাল ও মুরগির মাংসই মূল উপকরণ। দারচিনি, এলাচ ও লবঙ্গের মৃদু সুবাস থাকে। গাজর ও মটরশুঁটি রঙ ও স্বাদ বাড়ায়। কাজু ও শুকনো ক্র্যানবেরি ব্যবহার করা যায়। পোলাওয়ের সঙ্গে সালাদ খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে তলে দ্বিগুণ।
ইলিশ মাছের ঝোল
বাংলাদেশি টেবিলে ইলিশ মানেই আভিজাত্য। বড়দিনেও অনেক পরিবারে ইলিশ রান্না হয়। সরিষার তেলের ঝাঁঝালো ঘ্রাণ থাকে। হলুদ ও কাঁচামরিচে সাধারণ ঝোল। সাদা ভাতের সঙ্গে অতুলনীয়। এটি দেশীয় স্বাদের প্রতিনিধিত্ব করে।
স্লো কুকার বিফ স্ট্যু
এটি একটু ভিন্নধর্মী পদ। তৈরি করতে গরুর মাংস, গাজর ও আলু লাগে। লম্বা সময় ধরে ধীরে রান্না করা হয়। মাংস হয় নরম ও রসালো। শীতের সন্ধ্যায় এই পদ বেশ মানানসই। রুটি বা ভাত—দুটোর সঙ্গেই চলে।
এনটি