পাইলস একটি যন্ত্রণাদায়ক রোগের নাম। পাইলস আক্রান্ত ব্যক্তিকে সবসময় তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু পাইলসের সমস্যায় ভুগলে যেসব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত সেসব খাবার সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। পাইলসে আক্রান্ত হলে কোন কোন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত, চলুন জেনে নেয়া যাক-

পনির ও দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য 

পাইলসে আক্রান্ত ব্যক্তির পনির ও দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এতে চর্বি থাকে। চর্বি জাতীয় খাদ্য খেলে পাইলস আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই পাইলস হলে পনির ও দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য না খাওয়াই ভালো। 

মাংস 

পাইলস হওয়ার পর মাংস বেশি খেলে পাইলস বেড়ে যায়। তাই পাইলসের সমস্যা দেখা দিলে যতটা সম্ভব মাংস খাওয়া বাদ দেয়া উচিত। তাহলে পাইলস দ্রুত সেরে যাবে। 

ভাজাপোড়া খাবার 

পাইলস আক্রান্ত হলে ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ পাইলস রোগীর জন্য এই জাতীয় খাবার ক্ষতির কারণ। এতে রোগ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তাই পাইলসে আক্রান্ত রোগীকে অবশ্যই যেকোনো প্রকার ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

চিপস 

চিপস খেতে পছন্দ করে অনেক শিশুই। কিন্তু শিশুর পাইলসের মতো সমস্যা হলে চিপস খেতে দেবেন না। কারণ পাইলস হলে ক্যালসিয়ামের প্রচুর ক্ষয় হয়ে থাকে। আর চিপসে নাইট্রোজেন থাকার ফলে পাইলসে আক্রান্ত শিশুর শরীরের জন্য তা ক্ষতির কারণ। তাই চিপস থেকে শিশুকে দূরে রাখা জরুরি। 

আইসক্রিম 

পাইলস হলে আইসক্রিম না খাওয়াই ভালো। কারণ আইসক্রিম ঠান্ডা জাতীয় খাদ্য। ঠান্ডা জাতীয় খাদ্য পাইলসের অন্যতম কারণ। আর তাই পাইলস হওয়ার পর আইসক্রিম খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। 

স্যান্ডউইচ, পিজা ও অন্যান্য ফাস্টফুড 

পাইলস হলে স্যান্ডউইচ, পিজা, অন্যান্য ফাস্টফুড না খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। একজন পাইলস আক্রান্ত ব্যক্তি এসব খাবার খেলে তার পাইলস ভালো হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। কারণ এসব খাবারে হাই ক্যালরি থাকে। আর হাই ক্যালরি যুক্ত খাবার খেলে পাইলস আরও বাড়ে। 

এইচএকে/এইচএন