প্রাচীনকাল থেকেই রান্নায় ব্যবহৃত হচ্ছে কালোজিরা। কালোজিরা সব রোগের মহৌষধ। নিয়মিত কালোজিরা খেলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, একজিমা, এলার্জি নিয়ন্ত্রণে থাকে। কালোজিরায় ভিটামিন, স্ফটিকল নাইজেলোন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, স্যাপোনিন, ক্রুড ফাইবার, প্রোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিড, ওলিক অ্যাসিড, আয়রন, সোডিয়াম, পটাসিয়াম ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। আজ আপনাদের জানাবো কালোজিরার উপকারিতা সম্পর্কে। আসুন জানা যাক- 

ডায়েবেটিস প্রতিরোধ করে

ডায়েবেটিস বা বহুমূত্র রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হয় কালোজিরা। পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল এই রোগ প্রতিরোধ করার জন্য কালোজিরার তেলে রয়েছে পুষ্টি উপাদান। প্রতিদিন সকালে এক চা চামচ তেলের সঙ্গে কালোজিরা মিশিয়ে খেলে ডায়েবেটিস নিরাময় করা সম্ভব। 

ডায়েটে কাজে আসে

ডায়েটে কালোজিরা রাখলে উপকার মেলে। রুটি ও যেকোনো তরকারির সঙ্গে কালোজিরা খেলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায়। অনেকে মধু ও পানির সঙ্গে কালোজিরা মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। তবে ওটমিল ও টক দইয়ের সঙ্গে কালোজিরা খেলে আরও ভালো উপকার পাওয়া যাবে। 

বিভিন্ন ব্যথা ও মুখের দাগ দূর করে

লেবুর রস কালোজিরা তেল একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে মুখের ব্রণ ও দাগ দূর হবে। এছাড়া লেবুর রস ও কালোজিরার তেল মুখে লাগিয়েও ব্রণ দূর করা যায়। অনেকে মাথা ব্যথা রোগের জন্য কালোজিরা খেয়ে থাকেন। এটি একটি পুরনো ঘরোয়া প্রতিকার। সরিষার তেলের সঙ্গে কালোজিরা তেল মিশিয়ে হাঁটু বা অন্যান্য জয়েন্টে ম্যাসাজ করলে হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা দূর করা সম্ভব। 

সর্দি-কাশি দূর করে

সর্দি-কাশির সময় আরাম পেতে এক চা চামচ কালোজিরার তেলের সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। অথবা এককাপ লাল চায়ের সঙ্গে আধা চা চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে খেলেও উপকার মেলে। দিনের মধ্যে তিনবার এভাবে খেলে সর্দি-কাশি রোগ দূর হয়ে যাবে। পাতলা পরিষ্কার কাপড়ে কালোজিরা বেঁধে শুঁকলে শ্লেষ্মা তরল হয়। এছাড়া এক চা চামচ কালোজিরার সঙ্গে তিন চা চামচ মধু ও দুই চা চামচ তুলসি পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, ব্যথা, সর্দিকাশি কমে যায়। 

হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টজনিত রোগ প্রতিরোধ করে 

হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টজনিত রোগের ক্ষেত্রে কালোজিরা অনেক উপকারী। নিয়মিত কালোজিরার ভর্তা খেলে হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট দ্রুত উপশম হয়। শুধু কালোজিরা খেলে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দূর হয়ে যায়। 

এইচএকে/এইচএন/এএ