সন্তানের উচ্চতা নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন? এ নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তা করে লাভ নেই। কারণ মানুষের উচ্চতা অনেকটাই নির্ভর করে তার জিনের ওপর। তবে এর বাইরে জীবনযাত্রা, শরীরচর্চা, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদিও কিছুটা ভূমিকা রাখে। তাই শিশুর উচ্চতা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে তার খাবারের তালিকায় নজর দিতে হবে। বাইরের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে। কোন খাবারগুলো শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে, চলুন জেনে নেয়া যাক-

শাক-সবজি

অনেক শিশুই সবজির প্রতি বিমুখ থাকে। তাদের কাছে আকর্ষণীয় খাবার হলো ফাস্টফুড। কিন্তু এই অভ্যাস একদমই গড়তে দেবেন না। শিশুর শরীরে সঠিক পুষ্টি পৌঁছে দেয়া জরুরি। তাই তার খাবারের তালিকায় পর্যাপ্ত শাক-সবজি রাখুন। শাক-সবজিতে থাকে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি, ভিটামিন এ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খনিজ। শিশুর প্রয়োজনীয় বিকাশে এগুলো বেশ জরুরি।

ডিম ও মুরগির মাংস

শিশুর পাতে থাকা চাই পর্যাপ্ত প্রোটিন। কারণ আমাদের মাংসপেশীর গঠনে প্রোটিনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই শিশুর খাবার তালিকায় ডিম ও মুরগির মাংস রাখুন। এতে শিশু সুস্থ ও সবল থাকবে। পাশাপাশি তার উচ্চতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া গতিশীল হবে।

মাছ

কাঁটার ভয়ে শিশু মাছ খেতে চায় না? তাকে বোঝান, মাছ আমাদের শরীর ভালো রাখতে ভীষণ দরকারি। তাই প্রতিদিন তাকে মাছ খেতেই হবে। নিয়মিত মাছ খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি শিশুর উচ্চতা দ্রুত বাড়ে।

দুধ

পরিপূর্ণ একটি খাবার হলো দুধ। আমাদের মাংসপেশীর গঠন বলুন কিংবা হাড় শক্ত করা- দুধের বিকল্প খুঁজে পাবেন না। দুধে থাকে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, এবং ভিটামিন ডি। তাই শিশুর খাবারের তালিকায় দুধ রাখা উচিত। দুধ খেতে না চাইলে দুধ দিয়ে কোনো মজাদার খাবার তৈরি করে দিতে পারেন।

ডাল

ডালে থাকে আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টি উপাদান। তাই শিশুকে নিয়মিত ডাল খেতে দিন। প্রতিদিন একইভাবে রান্না করলে খেতে একঘেয়েমি লাগতে পারে। তাই ডাল দিয়ে নানাভাবে খাবার তৈরি করতে পারেন।

ফল

শিশুর প্রতিদিনের খাবারে থাকুক ফল। দামি দামি ফল কিনে দিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। বরং মৌসুমী যেকোনো ফল কিনে আনুন শিশুর জন্য। আমাদের দেশি ফলগুলো বেশ পুষ্টিকর। সেসব ফল খেতে অভ্যস্ত করুন শিশুকে। নিয়মিত ফল খেলে শিশুর উচ্চতা বাড়বে দ্রুত। 

এইচএন