খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা প্রায় সময়েই সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি। আমাদের জন্য উপকারী এবং অপকারী দুই ধরনের খাবারেরই অভাব নেই। একই খাবার কখনো খাওয়া উপকারী তো কখনো আবার অপকারী। রুটি, ভাত, না কি ফল? শস্য না কি তরল? মশলাদার খাবার না কি সালাদ? কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর, কোনটি খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে তা নিয়ে আমাদের নানা চিন্তা। যারা কেবল স্মুদি ও জুসের ওপর নির্ভর করতে শুরু করেন, তারা দ্রুতই বিরক্ত হয়ে যান। কারণ একই ধরনের খাবার প্রতিদিন খেলে একঘেয়ে লাগবেই।

খাবারের তালিকা থেকে স্বাস্থ্যকর খাবার বাদ পড়লে পুষ্টির ঘাটতিতে ভুগতে শুরু করবেন। এর ফলে আপনার হাড় দুর্বল হতে শুরু করবে। তাই নিজে স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা করে নিলে হবে না। বরং এক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। খাবারের তালিকা তৈরির সময় যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন-

সালাদ সুস্বাদু করে তুলুন

বেশিরভাগের কাছেই সালাদ মানে একটি পাত্রে কিছু পাতা, টমেটো, শসা যোগ করে উপরে কিছুটা লবণ এবং লেবুর ছিটিয়ে দেওয়া। কেউ যদি এই খাবার নিয়মিত খেতে থাকেন তবে একটা সময় বিরক্তি আসবেই। তাই পরিচিত রেসিপি পাল্টে সালাদ আরও সুস্বাদু ও পুষ্টিকর করে তুলতে পারেন। এতে ভাজা শাক-সবজি, পাস্তা, ছোলা, মুরগির মাংস, চিংড়ি বা সেদ্ধ ডিম মেশাতে পারেন। এতে সালাদ আপনার কাছে আরও বেশি উপভোগ্য হয়ে উঠবে।

মশলা বাদ দেবেন না

স্বাস্থ্যকর খাবার বলতে অনেকে বোঝেন মশলার কম ব্যবহার বা খাবার থেকে অনেক ধরনের মশলা বাদ দেওয়া। তবে আমাদের দেশে যেসব মশলা পাওয়া যায় তা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। তবে এর পরিমাণ বুঝে খেতে হবে। এসব মশলা খাবারকে স্বাস্থ্যকর করার পাশাপাশি আরও বেশি সুস্বাদু করে তুলবে।

কলা রাখুন তালিকায়

অনেকে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে কলা, আম, লিচু কিংবা জাতীয় ফল থেকে দূরে থাকেন। তবে এটি একদমই ঠিক নয়। বরং মৌসুমী এই ফলগুলোতে থাকে বিভিন্ন উপকারী উপাদান। এতে থাকে প্রাকৃতিক শর্করা। এসব ফল দিয়ে নানা ধরনের মিষ্টি খাবার বা ডেজার্টও তৈরি করে খাওয়া যায়। তাই কলাসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফল রাখুন খাবারের তালিকায়।

রান্নায় নতুনত্ব আনুন

একই ধরনের রান্না খেতে প্রতিদিন ভালো না-ও লাগতে পারে। তাই রান্নায় নতুনত্ব আনার চেষ্টা করুন। একই উপকরণ দিয়ে তৈরি করা যায় নানা ধরনের খাবার। সেগুলো শিখে নিয়ে নতুন নতুন খাবার তৈরির চেষ্টা করতে পারেন। ভাজাভুজির বদলে গ্রিল বা বেক করা খাবার খেতে পারেন। এগুলো বেশি স্বাস্থ্যকর। 

খাবার উপভোগ করুন

খাবার খেতে হয় বলে খাওয়া, এভাবে খাবেন না। বরং আপনার খাবারকে উপভোগ করতে শিখুন। যত্ন করে রাঁধুন। রান্নার শেষে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। এতে মন খুশি থাকবে। আপনি যদি খাবার উপভোগ না করেন তবে তা শরীরে সঠিকভাবে পুষ্টি পৌঁছাতে ব্যর্থ হবে। খাবার খাওয়ার সময় যেকোনো গ্যাজেট থেকে দূরে থাকুন। মনোযোগের পুরোটাই রাখুন খাবারের প্রতি।

টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে