তার সঙ্গের অনেকেই আড়ালে চলে গেছেন, কিন্তু তিনি সরব থাকেন সব সময়। বলিউড ছাড়িয়ে হলিউড দাপিয়েছেন, তাও অনেকদিন। পোশাক, দাম্পত্যজীবন, ফিটনেসসহ লাইফস্টাইলের প্রায় সবকিছু নিয়েই তিনি থাকেন আলোচনায়। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলে তার ফিট থাকার রহস্য নিয়ে

এদিকে বয়স বাড়লেও তার ছাপ পড়ছে না চেহারায়। বয়স যেন সেই পঁচিশেই আটকে আছে ঊনচল্লিশের প্রিয়াঙ্কার। যে বয়সে সাধারণত মা-কাকিমা হিসেবে পর্দায় দেখা যায়, সেই বয়সেও প্রিয়াঙ্কা হয়ে আছেন নায়িকা। বয়স এভাবে উল্টো ঘোরানো কীভাবে সম্ভব করলেন তিনি?

ভাবছেন, খুব বুঝি দামি কোনো খাবার খেয়ে এমন ফিট থাকছেন তিনি? নায়িকারা বুঝি সাধারণের নাগালের বাইরে থাকা সব খাবার খান! আসলে বিষয়টি মোটেও তেমন নয়। তারাও আমাদের মতোই মানুষ। তাদেরও অসুখ করে, মন খারাপ হয়। খাবারে একটু এদিক-সেদিক হলে তাদেরও স্বাস্থ্যের বারোটা বাজে। তাই তাদের আলাদা ভাবার দরকার নেই। প্রিয়াঙ্কা যদি এই বয়সে এসেও তারুণ্যে ঝলমল করেন, তাহলে আপনি কেন পারবেন না?

প্রিয়াঙ্কার ব্যক্তিগত রাঁধুনি হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন। তার ফিটনেসের রহস্য লুকিয়ে আছে তার সালাদে। প্রতিদিন সকাল, দুপুর আর রাতের খাবারে এই পদ ছাড়া চলেই না প্রিয়াঙ্কার। তার সঙ্গে একদিন পরপর থাকে এক বাটি করে দানাশস্য। তবে শেফ জানালেন, প্রিয়াঙ্কার জন্য তিনি একটি বিশেষ পদ তৈরি করেন। ভালোবেসে তিনি এই পদটির নাম দিয়েছেন ‘প্রিয়ঙ্কা সালাদ।’ সেই সালাদে থাকে বাদাম, ফল, ফেনেল সিড, গাজর আর চিকেন।

প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে সঙ্গে তার স্বামী নিকও জোনাসও যথেষ্ট স্বাস্থ্য সচেতন । তেল-ঝাল বা মশলাদার কিছু খান তারা দুজনেই। দেখতে সুন্দর তো আর এমনি এমনি লাগে না! স্ত্রীর ডায়েটের দিকেও কড়া নজর রাখেন নিক জোনাস। প্রিয়াঙ্কার প্রতিদিনের খাবারে যেন প্রচুর তাজা ফল থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে নির্দেশ দেওয়া আছে ব্যক্তিগত শেফকে।

তাহলে বুঝতেই পারছেন, মেপে মেপে খাওয়ার কারণেই প্রিয়াঙ্কার শরীর এখনও মেদহীন তরুণীর মতো। যেকোনো পোশাকেই দারুণভাবে মানিয়ে যায় তাকে। এর মূল রহস্য সেই সালাদেই। আপনিও যদি এমন নির্মেদ থাকতে চান আর বয়সের কাঁটা উল্টো দিকে ঘোরাতে চান, তবে খাবারে যোগ করতে পারেন প্রিয়াঙ্কার সেই বিশেষ সালাদ।

পপক্সো অবলম্বনে এইচএন