সাধারণ যে চা আমরা খাই, তা উপকারী জেনেই খাই। এদিকে গ্রিন টি কিন্তু সেই চায়ের মতো নয়। মানে স্বাদ, গন্ধ, রং কোনোটাই মেলে না। যারা সাধারণ চা খেয়ে অভ্যস্ত তারা হঠাৎ গ্রিন টি খেতে শুরু করলে প্রথম দু-একদিন স্বাদ একটু অদ্ভুত ঠেকতে পারে। তবে এতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে তা আর মনে হবে না।

গ্রিন টি কেন খাবেন?

এখন কথা হলো, গ্রিন টি আপনি কেন খাবেন? প্রথমত এটি আপনার শরীর ও মনের শান্তির জন্য জরুরি। বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে উপরের দিকেই আছে গ্রিন টি এর নাম। ধীরে ধীরে এই পানীয় পানে অভ্যস্ত হতে শুরু করেছেন অনেকে। 

গ্রিন টি খাওয়ার উপকারিতা

গ্রিন টি খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। দিনে অন্তত এককাপ গ্রিন টি আপনার শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে পারে। তাতে আপনি দিনভর থাকবেন সতেজ ও সুস্থ। এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পলিফেনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েড যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ফ্লু, কাশি থেকেও রক্ষা করে।

গ্রিন টি খেলে কী হয়?

আপনি যদি নিয়মিত গ্রিন টি খেতে পারেন তবে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না। কারণ গ্রিন টি খেলে তা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি হজমশক্তির উন্নতি করার পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। ত্বক, স্তন, ফুসফুস, কোলন, খাদ্যনালী এবং মূত্রাশয় সহ বেশ কিছু ক্যান্সারের আশঙ্কা দূরে রাখে গ্রিন টি। সেইসঙ্গে কমায় হৃদরোগের ঝুঁকিও।

উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায় গ্রিন টি

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণের কারণে গ্রিন টি এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে এইচডিএল কোলেস্টেরল এবং ধমনীর কার্যকারিতা বাড়াতেও বিশেষভাবে সাহায্য করে। এই পানীয় উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি ৪৬ শতাংশ থেকে ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সাহায্য করে। এটি চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যও বিশেষ উপকারী।

দিনে কতটা গ্রিন টি খাওয়া যাবে?

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, প্রতিদিন ২ থেকে ৩ কাপ গ্রিন টি খাওয়া যেতে পারে। কারণ এর বেশি পান করলে শরীরে অতিরিক্ত পলিফেনল প্রবেশ করতে পারে। একজন মানুষের জন্য প্রতিদিন মোট ২৪০ থেকে ৩২০ মিলিগ্রাম পলিফেনল যথেষ্ট। 

গ্রিন টি কোথায় বেশি হয়?

সবচেয়ে বেশি গ্রিন টি তৈরি হয় চীনে। এরপর রয়েছে জাপান, ভিয়েতনাম এবং ইন্দোনেশিয়া। জাপানও উৎকৃষ্ট মানের গ্রিন টি চাষ করে। গ্রিন টি এর মধ্যে চাইনিজ গানপাউডার, ড্রাগনওয়েল, স্নো মাউন্টেন জিয়ান সুপরিচিত। এছাড়াও জাপানের ম্যাচা, সেনচা, কুকিচা ইত্যাদিও গ্রিন টি প্রেমীদের কাছে পরিচিত।