হজমের সমস্যায় ভুগতে শুরু করলে সুস্থ হয়ে ওঠা মুশকিল। কারণ খাবারে একটু এদিক-সেদিক হলেই হজমে গোলমাল বাঁধতে পারে। তখন পেট ঠিক করতে আরও বেশি সতর্ক হতে হয়। কিন্তু সব সময় একেবারে নিয়ম মেনে খাবার খাওয়া সম্ভব হয় না চাইলেও। এদিকে হজমে সমস্যা হলে তার প্রভাব পড়ে পুরো শরীরে। কারণ আমাদের শরীর তখন কোনো কাজই ঠিকভাবে করতে পারে না। তবে একটু সচেতন হলেই হজমের সমস্যা এড়ানো সম্ভব-

সঠিক খাবার

আপনি কি অফিসে গিয়ে কাজ করেন নাকি বাসায়ই থাকেন বেশিরভাগ সময়? কোথায় বেশি সময় কাটছে তার ওপর নির্ভর করবে আপনার খাবারের ধরন। স্বাভাবিক ডায়েট বজায় রাখতে পারলেই সবচেয়ে ভালো। সকালের নাস্তা থেকে রাতের খাবার পর্যন্ত চেষ্টা করুন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার। আপনি যদি বেশিরভাগ সময় বসে থাকেন তবে শারীরিক গতি কমে যাওয়ার কারণে হজমে সমস্যা হতে পারে। আবার অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণে হতে পারে অ্যাসিডিটি। 

একান্তই মুখরোচক কিছু খেতে ইচ্ছে করলে সেজন্য নির্দিষ্ট একটি সময় রাখুন। প্রতিদিন একই সময়ে সেসব খাবার খান। তবে ফাস্টফুড বা জাঙ্কফুড খাবেন না। বাড়িতে মুড়ি মাখা বা ছোলা মাখা খেতে পারেন। চিড়া, সবজি রোল, ফল ইত্যাদি খেতে পারেন। প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান। খাবারের সময় আপনার ওজন ও উচ্চতার বিষয়টিও মাথায় রাখবেন।

পর্যাপ্ত পানি

সুস্থ থাকলে হলে আপনাকে পর্যাপ্ত পানি পান করতেই হবে, এর বিকল্প নেই। সারাদিন পান করতে হবে প্রচুর পানি। পর্যাপ্ত পানি পান করলে তা সঠিক হজমে সাহায্য করবে। পানি কম খেলে তা অ্যাসিডিটি বাড়িয়ে দিতে পারে। পানি পান করলে তা শরীরকে ভেতর থেকে আর্দ্র রাখে। খাবার ঠিকভাবে হজম হয়। দূরে থাকে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা। হজমে সমস্যা না থাকলে আপনার থেকে দূরে থাকবে অনেক অসুখই। 

শরীরচর্চা করতেই হবে

শুধু ওজন কমানোর জন্য নয়, সুস্থ থাকার জন্য শরীরচর্চা করা জরুরি। শরীর ফিট রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। এতে সক্রিয় থাকবে শরীরের প্রতিটি পেশী। রক্ত সঞ্চালন হবে ঠিকভাবে। বাড়বে পেশীর জোর। প্রতিদিন শরীরচর্চার জন্য অন্তত আধা ঘণ্টা সময় রাখুন। নির্দিষ্ট সময় মেনে শরীরচর্চা করুন। সাইকেল চালানো এবং হাঁটাও ভালো ব্যায়াম। এতে শরীর ভালো থাকে এবং হজম ভালো হয়। 

প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম

ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে থেকে সব ধরনের গ্যাজেট বা ইলেক্ট্রিক ডিভাইস থেকে দূরে থাকুন। তবে চাইলে হালকা ভলিউমে গান শুনতে পারেন। বই পড়তে পারেন। যারা ধর্মগ্রন্থ পড়তে পছন্দ করেন, তারা ধর্মগ্রন্থ পড়তে পারেন। তবে সেলফোনে স্ক্রলিং বন্ধ করুন। চেষ্টা করবেন ঘুম যাতে পূর্ণ হয় সেদিকে খেয়াল রাখার। ঘুম কম হলে গ্যাস ও অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা হতে থাকে। তাই হজমশক্তি ভালো রাখার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। প্রতিদিন সাত-আট ঘণ্টা ঘুম আপনার জন্য যথেষ্ট।

পপক্সো অবলম্বনে