ত্বকের মতোই আমাদের ঠোঁটের যত্ন নেওয়া সমান জরুরি। এদিকে ত্বকের যত্নে যতটা যত্নশীল, ঠোঁটের যত্নে যেন ঠিক ততটা নই। ঠোঁট খসখসে হলে, ফেটে গেলে কিংবা চামড়া উঠে গেলে দেখতে ভালোলাগে না নিশ্চয়ই। কোমল ও গোলাপি ঠোঁট কে না পেতে চায়! আর সেজন্য প্রয়োজন স্ক্রাবিং। 

স্ক্রাবিং করলে তা মৃত এবং নিস্তেজ ত্বক সরিয়ে ত্বককে নতুন জীবন দেয়। সে কারণে ঠোঁট স্ক্রাবিং করাও জরুরি। এটি ঠোঁটেকে মৃত ও শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি দেয় এবং কোমল করে তোলে। জেনে নিন ঠোঁট স্ক্রাব করার আরও কিছু উপকারিতা-

* নিয়মিত স্ক্রাব করলে তা ঠোঁটকে নরম করে তোলে।

* ফাটা ঠোঁট ঠিক করতে সাহায্য করে।

* ঠোঁটকে হাইড্রেটেড রাখে, ফলে ঠোঁট ফাটার সমস্যা দূর হয়।

* ঠোঁটে লিপস্টিক পরলে অল্প সময়েই ছড়িয়ে পরার ভয় থাকে। কিন্তু নিয়মিত স্ক্রাবং করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

* ঠোঁটের শুষ্কতা থেকে মুক্তি দিয়ে এটি সতেজ রাখতে সাহায্য করে স্ক্রাব।

ঠোঁট কীভাবে স্ক্রাব করবেন

শুধু স্ক্রাব করলেই হবে না, কীভাবে স্ক্রাব করলে তা সঠিক হবে তা জেনে নেওয়াও জরুরি। ঠোঁট স্ক্রাব করার আগে এর সঠিক ব্যবহার জেনে নিতে হবে। এটি মোটেও কঠিন কোনো পদ্ধতি নয়। বরং বেশ সহজ। সেজন্য মোট পাঁচটি ধাপই যথেষ্ট। জেনে নিন সেই ধাপগুলো-

* লিপস্টিক পরা থাকলে বা ঠোঁটে কোনো ধরনের প্রসাধনী থাকলে তা প্রথমে মুছে ফেলতে হবে। এরপর আলতো হাতে ঠোঁট ঘষে পরিষ্কার করে নিন।

*  এবার অল্প করে ঠোঁটের স্ক্রাব নিয়ে তা ঠোঁটের উপরে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন।

* এরপর খুব সাবধানে আস্তে আস্তে ঠোঁট স্ক্রাব করতে হবে। মিনিট পাঁচেক এভাবে স্ক্রাব করুন।

* স্ক্রাবিং হয়ে গেলে তারপর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে স্ক্রাবটি ভালোভাবে মুছে ফেলুন। এরপর ঠোঁট ধুয়ে নিন।

* এরপর ঠোঁটে লিপ বাম লাগিয়ে নিন। স্ক্রাবের ক্ষেত্রে ঘরোয়া বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করতে পারেন।