নিয়মিত ফল খেলে মেলে নানা উপকার। আর একথা কম-বেশি আমাদের সবারই জানা। যেকোনো রোগ থেকে দ্রুত মুক্তি পেতেও খাবারের তালিকায় পুষ্টিকর ফল রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বাজারে দেশি-বিদেশি নানারকম ফল পাওয়া যায় সারা বছরই। সেসব ফল পাতে রাখলে আপনার সুস্থতা নিশ্চিত হবে অনেকটাই। আবার কিছু ফল রয়েছে, যেগুলো নিয়মিত খেলে ত্বক হয়ে ওঠে নিখুঁত সুন্দর। চলুন জেনে নেয়া যাক তেমনই পাঁচটি ফল সম্পর্কে-

প্রতিদিন একটি আপেল

ডাক্তার থেকে দূরে থাকতে হলে প্রতিদিন একটি আপেল খান- এমন প্রবাদ প্রচলিত রয়েছে। এটি কিন্তু অনেকাংশেই সত্যি। কারণ প্রতিদিন একটি আপেল খেলে শরীর নানা অসুখ থেকে দূরে থাকে। আপেলে আছে ভিটামিন এ, সি, ডায়েটারি ফাইবার, পট্যাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই ফল ত্বকের ফ্রি র‌্যাডিকেলস দূর করতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত আপেল খেলে ত্বকে বয়সের ছাপ সহজে পড়ে না। ত্বক ঝকঝকে ও উজ্জ্বল থাকে।

লেবুতেই বাজিমাত

ভিটামিন সি এর অন্যতম প্রধান উৎস হলো লেবু। প্রতিদিন লেবু খাওয়ার অভ্যাস গড়লে উপকার পাবেন নানারকম। এই ফলে আছে প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং দাগ-ছোপ দূর করতে লেবু ব্যবহার করা হয়, আবার ভেতর থেকে টক্সিন বের করে দিতে লেবু খাওয়ার বিকল্প নেই।

পেঁপে খান প্রতিদিন

সারাবছর যেসব ফল পাওয়া যায়, পেঁপে তার মধ্যে অন্যতম। ত্বকের যত্নে অনেকেই পেঁপে ব্যবহার করে থাকেন। তবে শুধু রূপচর্চায় ব্যবহার নয়, পেঁপে খেতেও হবে প্রতিদিন। একইভাবে খেতে ভালো না লাগলে স্বাদ বদলাতে পারেন। পেঁপে দিয়ে তৈরি করতে পারেন চমৎকার স্বাদের স্মুদি। ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দিতে পেঁপে বেশ কার্যকরী।

ত্বক ভালো রাখবে কলা

পেঁপের মতোই আরেকটি সহজলভ্য ফল হলো কলা। প্রায় সব বাড়িতেই কলা খাওয়া হয়। সকালের নাস্তায় কলা খেতে পছন্দ করেন অনেকে। আমাদের ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করে এই পরিচিত ফল। কলায় আছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম ও প্রচুর পানি। তাই কলা খেলে আমাদের ত্বক আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে এবং ব্রণের মতো সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।

আম খাবেন যে কারণে

পুষ্টিকর ফলের মধ্যে একটি হলো আম। স্বাদ আর সুগন্ধের জন্য এটি বেশ পরিচিত। মিষ্টি স্বাদের এই ফল আমাদের ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। আমে রয়েছে ভিটামিন এ, ই, সি এবং কে, ফ্ল্যাভোনয়েড, পলিফেনোলিকস, বিটা ক্যারোটিন এবং জ্যান্টোফিল। এই উপাদানগুলো আমাদের ত্বককে ডিএনএ ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে।

এইচএন