শীতে নানা ধরনের শাক-সবজির পাশাপাশি কিছু ফলও পাওয়া যায়। সেসব ফল বেশ সুস্বাদু ও উপকারী। তার ভেতরে একটি ফল হলো কমলা। এই মিষ্টি ও সুগন্ধযুক্ত ফলটি পুষ্টির একটি পাওয়ার হাউস এবং স্বাস্থ্যের জন্য দুর্দান্ত। কিন্তু ডায়াবেটিস হলে যেহেতু অনেক খাবারে বিধি-নিষেধ চলে আসে, এমন অবস্থায় কি আপনি কমলা খেতে পারবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

কমলার উপকারিতা

কমলা ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ, যা প্যাকেটজাত ফলের রসের তুলনায় স্বাস্থ্যের অনেক বেশি উপকারী। কমলায় থাকা ভিটামিন সি এর উপস্থিতি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, খাদ্যের ফাইবার হজম ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। এই ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষ পুনর্জন্মে সাহায্য করে। তাজা কমলায় প্রচুর প্রাকৃতিক চিনি যেমন ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ থাকে। তাই ইনসুলিন সংবেদনশীলতায় ভুগছেন এমন কারও জন্য কি কমলা উপকারী?

মাঝারি মাপের একটি কমলায় থাকে ৬২ ক্যালরি। ৯৩ শতাংশ থাকে ভিটামিন সি, ১১ শতাংশ থাকে ফাইবার, ১০ শতাংশ থাকে ফোলেট, ৯ শতাংশ ভিটামিন বি১, কপার-পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম থাকে যথাক্রমে ৭, ৫ ও ৫ শতাংশ।

ডায়াবেটিস রোগীদের এমন খাবার খেতে পরামর্শ দেওয়া হয় যাতে সুষম গ্লাইসেমিক সূচক ও ফাইবার থাকে। কমলায় থাকে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ফাইবার। তাই কমলা মিষ্টি হলেও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর নয়। সোডিয়াম কম খাওয়া ও পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়ানো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার অন্যতম শর্ত। কমলায় থাকে যথেষ্ট পটাশিয়াম যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস রোগীরা কীভাবে কমলা খাবেন

কমলা খাওয়ার সর্বোত্তম উপায় হলো কাঁচা খাওয়া বা কোন মিষ্টি যোগ না করে তাজা কমলার রস তৈরি করে খাওয়া। আরও বেশি উপকারিতা পেতে চাইলে কমলার রসে এক টেবিল চামচ চিয়া বীজ যোগ করুন। এটি আপনার খাবারে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উপকারিতা যোগ করবে।