বিট মানেই যেন ‘ভেজিটেব্‌ল চপ’। বিট দিয়ে সহজেই নানা পদ বানানো যায়। বিটের তরকারি, বিটের স্মুদি, বিটের সালাদ, বিটের পরোটা বা গোলা রুটি— চাইলেই বানিয়ে ফেলতে পারেন সব রকমের খাবার। বিট ব্লেন্ড করে আটার সঙ্গে মিশিয়ে রুটি কিংবা গোলা রুটি বানিয়ে ফেলতে পারলে সুস্বাদু অথচ স্বাস্থ্যকর নাস্তা তৈরি হয়ে যাবে নিমেষেই। 

শীতে বেশি করে বিট খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। কিন্তু কেন? জেনে নিন কারণগুলো।

১। ওজন নিয়ন্ত্রণ

বিটে খুব কম ক্যালোরি রয়েছে। ফ্যাট প্রায় নেই বললেই চলে। তাই যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য বিট খুব ভালো খাবার।

২। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ

বিটে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট রয়েছে, যা শরীরে নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করে। এতে রক্তনালী প্রসারিত হয়। ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে।

৩। রক্ত পরিশুদ্ধ করে

শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করার জন্য বিট খুব কার্যকর। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে বিট রক্তে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়ায়। তাছাড়া একাগ্রতা বাড়াতেও সাহায্য করে।

৪। পুষ্টিগুণে ভরপুর

বিটে রয়েছে আয়রন, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো নানা জরুরি পুষ্টিগুণ। ফলে রোজের খাবারে বিট রাখলে তা শরীরের যত্ন নেবে।

৫। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর

বিটের মধ্যে রয়েছে বিটানিন। এর কারণেই লাল রঙ। বিটানিন এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও বটে। ফলে শরীরের পক্ষে যথেষ্ট উপকারী।

সূত্র: আনন্দবাজার

এসএসএইচ