আমরা যখন কোনোকিছু কিনি, পণ্যটির মেয়াদের কথা মাথায় রেখেই কিনি। যে জিনিসটি কিনছি তার গায়ে উল্লেখ করা মেয়াদ দেখে নিশ্চিত হয়ে তবেই কেনা হয়। এদিকে পানি কেনার সময় বোতলের গায়ে মেয়াদ দেখার কথা মনে থাকে না বেশিরভাগেরই। হয়তো ভাবতে পারেন, পানির আবার মেয়াদ কী? এবার ভেবে দেখুন তো, পানির যদি মেয়াদের দরকার না হয় তবে পানির বোতলের গায়ে মেয়াদ উল্লেখ করা থাকে কেন?

আপনি যদি এমন পানি কিনে পান করেন যার বোতলে উৎপাদন এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ উল্লেখ নেই, তবে তা অবশ্যই স্বাস্থ্যের জন্য ভীতিকর হতে পারে। প্রতিদিন বাইরে বের হন অসংখ্য মানুষ। সবার পক্ষে বাড়ি থেকে পানি নিয়ে চলাফেরা করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে কেনা পানিই ভরসা। তবে তার আগে পানির মেয়াদ সম্পর্কে জেনে নেওয়া জরুরি-

মেয়াদোত্তীর্ণ পানি কি পান করা যাবে?

বাইরে বের হলে কখনো না কখনো আপনাকে কেনা পানি পান করতে হতে পারে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান না করলে তা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ পানিশূন্যতা থেকে সৃষ্টি হতে পারে নানা অসুখের। এদিকে খেতে নিয়ে যদি দেখেন যে পানির বোতলের গায়ে উল্লেখ করা তারিখ আগেই পার হয়ে গেছে তখন কী করবেন? এমন অবস্থায় আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে, মেয়াদোত্তীর্ণ পানি পান করা যাবে কি না? জেনে নিন এর বিস্তারিত-

পানি ​কতদিন পর্যন্ত ভালো থাকে?

পানি অন্তত ছয় মাস পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চ তাপমাত্রা এবং সূর্যের আলোর কারণে পানি নষ্ট হতে পারে। এসব কারণে পানি কার্বনেটেড হয়ে যেতে পারে। এর ফলে পানির স্বাদ বদলে যাওয়ার পাশাপাশি পানি থেকে গ্যাস বের হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞের দাবি, পানি এত সহজেই নষ্ট হয় না।

কেনা পানির বোতলে লেখা মেয়াদ সম্পর্কে যা জানা জরুরি

সাধারণ পানির তুলনায় প্যাকেটজাত পানি দ্রুত নষ্ট হতে পারে। প্লাস্টিকের বোতলে সংরক্ষণ করা পানির মেয়াদ দুই বছর পর্যন্ত থাকতে পারে। কিন্তু সেই পানির বোতল যদি সরাসরি সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসে তবে বোতলে থাকা পলিথিন টেরেফথালেট পানিতে দ্রবীভূত হতে থাকে। এটি পানির স্বাদ পরিবর্তনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। 

মেয়াদোত্তীর্ণ পানি পান করলে কী হয়?

মেয়াদোত্তীর্ণ পানি পান করলে হতে পারে প্রজনন সমস্যা। স্নায়বিক সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। মেয়াদোত্তীর্ণ পানি থেকে এক ধরনের কটু গন্ধ আসতে পারে। এর কারণ হলো পানির বোতল যেসব উপাদান দিয়ে তৈরি হয়, একটা সময় পর সেগুলো পানির স্বাদ ও গন্ধ বদলে দেয়।