অ্যাসিডিটি নিয়ে বেশিরভাগ মানুষই সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই সমস্যাকে প্রথম দিকে খুব একটা পাত্তা দেওয়া হয় না। ফলে সমস্যা আরও প্রকট হয়ে ওঠে। এরপর যখন সমাধান খুঁজতে থাকেন, তখন আর সহজে মুক্তি মেলে না। অ্যাসিডিটির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘরোয়া সমাধান বেছে নিতে হবে শুরুতেই। কারণ ঘরোয়া উপায়গুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না। 

অ্যাসিডিটি কী?

অ্যাসিডিটি হলো এক ধরনের পেটের সমস্যা। পাকস্থলীর মধ্যে থাকা অ্যাসিড খাদ্যনালীতে উঠে আসার সমস্যাকেই অ্যাসিডিটি বলা হয়। সমস্যাকে গ্যাসট্রিক রিফ্লাক্সও বলা হয়ে থাকে। অ্যাসিডিটি সমস্যার প্রধান কয়েকটি লক্ষণের মধ্যে রয়েছে বুকে অস্বস্তি, চাপ ভাব, জ্বালা করা। বমি বমি ভাব কিংবা বমি হওয়া। শরীর হাসফাঁস লাগা ইত্যাদি। এবার জেনে নিন অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়ার সমাধান-

ওজন কমাতে হবে

ওজন বেশি হলে তার প্রভাব পড়ে হজমতন্ত্রের ওপর। আপনার ওজন যদি অতিরিক্ত হয় তবে খাদ্যনালীর মধ্যে থাকা ভাল্ব সঠিকভাবে কাজ করবে না। যে কারণে অ্যাসিড উপরে উঠে আসবে। এর ফলেই বুকে জ্বালা ও অস্বস্তি হয়। তাই অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে হলে ওজন কমাতে হবে। বিএমআই অনুযায়ী আপনার কতটা ওজন দরকার তা নির্ধারণ করে ওজন কমিয়ে নিন।

সঠিক খাবার নির্বাচন করুন

আমর বেশিরভাগই খাবার নির্বাচনের বিষয়ে সতর্ক নই। অসতর্কতায় আমরা প্রতিদিন এমন অনেক খাবার খেয়ে ফেলি যা অ্যাসিডিটির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। অতিরিক্ত  তেল, ঝাল, মশলাযুক্ত খাবার এই সমস্যার কারণ হতে পারে। এ ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। খাবারের তালিকায় রাখুন মৌসুমী ফল, শাক-সবজি। কম তেল-মশলাদার খাবার আপনাকে অ্যাসিডিটি থেকে দূরে রাখবে।

খাওয়ার অভ্যাস ঠিক রাখুন

আমরা ‍পুষ্টিকর খাবার খেলেও যদি তা সঠিক উপায়ে না খাই তবে অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে। অনেকেই খাবার খাওয়ার মধ্যে অনেকখানি পানি খেয়ে ফেলি বা খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়ি। এসব অভ্যাস অ্যাসিডিটি বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। তাই খাবারের ক্ষেত্রেও সঠিক নিয়মগুলো মেনে চলুন।

সঠিক পানীয় পান করুন

যদি বিশুদ্ধ পানি পান করে থাকেন, তবে সমস্যা নেই। কিন্তু এখন অনেকেই কোল্ড ড্রিংকস বা এনার্জি ড্রিংকস খেতে বেশি পছন্দ করেন। এসব পানীয় শরীরের ভীষণ ক্ষতি করে থাকে। তাই পানি পানের ক্ষেত্রে সচেতন ও সতর্ক হতে হবে। মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা আজই ছাড়তে হবে। এতে অ্যাসিডিটি থেকে দূরে থাকা যাবে।

ধূমপান করবেন না

যারা ধূমপান করেন, তারা অন্যান্য অসুখের সঙ্গে ডেকে আনেন অ্যাসিডিটিকেও। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে যে, ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা অ্যাসিডিটি বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। আপনার যদি ধূমপানের অভ্যাস থাকে তবে তা আজই ছাড়তে হবে।