সাবান তো বাজার থেকেই কিনে আনা হয়, এটি আবার বাড়িতে তৈরি করা যায় নাকি! সাবান কিন্তু বাড়িতেও তৈরি করা যায়। এটি তৈরি করা মোটেও কঠিন কিছু নয়। আপনার হাতে যদি পর্যাপ্ত উপকরণ এবং ঘণ্টাখানেক সময় থাকে তবে সাবান তৈরি করা খুব সহজ একটি কাজ। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি বলে এগুলোর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকে না। সাবান তৈরির সময় ‘লাই’ নামক এক ধরনের ক্ষারজাতীয় উপাদন ব্যবহার করা হয়। এটি ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকবেন। আপনি চাইলে এই উপাদান বাদ দিয়েও সাবান তৈরি করতে পারবেন।

মধু ও দুধ দিয়ে সাবান

সাবান তৈরির জন্য সাবানের বেস-এর প্রয়োজন পড়ে। কী ধরনের সাবান তৈরি করছেন, তার উপর নির্ভর করে সাবানের বেস। এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে দুধ দিয়ে তৈরি সাবানের বেস। একটি পাত্রে অর্ধেক ব্লক দুধের সাবানের বেস ঢেলে নিন। এবার সেগুলো ছোট ছোট টুকরো করে ধীমে আঁচে সেগুলি গলিয়ে নিতে হবে। এই কাজের জন্য ব্যবহার করতে পারেন মাইক্রোওয়েভও।

সাবানের বেস গলতে শুরু করলে বারবার নাড়াতে হবে। সাবানের টুকরাগুলো একেবারে গলে গেলে তাতে তিন চামচ মধু ও কয়েক ফোঁটা সাবানে ব্যবহারের রং মেশাতে হবে। এবার এই মিশ্রণ আপনার পছন্দ অনুযায়ী ছাঁচে ঢেলে নিতে হবে। এভাবে রেখে দিলেই ধীরে ধীরে সাবানগুলো জমে যাবে। জমে শক্ত হয়ে গেলে সাবানগুলো বের করে নেবেন। এরপর ব্যবহার করুন।

চা পাতা দিয়ে সাবান

চা পান করার অভ্যাস আছে যাদের, তাদের বাড়িতে চা পাতা থাকবেই। কিন্তু এটি যে সাবান তৈরির কাজেও ব্যবহার করা যায় তা কি জানতেন? চা পাতা দিয়ে সাবান তৈরির জন্য প্রয়োজন দুটি টি ব্যাগ, আড়াশো গ্রাম সাবানের বেস, এক চা চামচ এসেন্সিয়াল অয়েল ও আধা চা চামচ অরেঞ্জ এসেন্সিয়াল অয়েল। এবার সাবানের বেস ছোট ছোট টুকরো করে চড়া আঁচে গলিয়ে নিন। এসময় ঘন ঘন নাড়তে হবে। সাবানের বেস পুরোপুরি গলে গেলে এসেন্সিয়াল অয়েলগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিন।

সাবানের মিশ্রণটি মিনিট দশেক নেড়ে এরপর টি ব্যাগ থেকে চা পাতা বের করে সেগুলো মিশিয়ে দিন। এভাবে পাঁচ মিনিট নাড়ুন। এরপর নামিয়ে নিয়ে পছন্দসই কোনো ছাঁচে ঢেলে নিন। এভাবে রেখে দিতে হবে দুই দিন। এরপর জমে গেলে সাবান তৈরি। তুলে নিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।