সুন্দর চুল পেতে যথাসাধ্য যত্ন করেও তারকাদের মতো সুন্দর চুলের অধিকারী হতে পারছে না? তারা কিন্তু তাদের ত্বক, চুল ভালো রাখার জন্য বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করেন। চুলের ভলিউম ও টেক্সচার ধরে রাখতে মেনে চলেন একাধিক উপায়। তারা যে সব সময় আরামদায়ক পরিবেশে থাকেন, তা কিন্তু নয়। বরং অনেক প্রতিকূল আবহাওয়াতেও তাদের কাজ করতে হয়। রোদ, দূষণ এসবের মুখোমুখি হতে হয়। এতকিছুর পরেও তাদের সৌন্দর্য কিংবা চুলে তার প্রভাব পড়ে না কেন?

সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে অভিনেত্রীদের কখনো চুল কার্লি করতে হয়, কখনো স্ট্রেট। কখনো দরকার হয় হেয়ার কালার ব্যবহারেরও, ইয়ে দিল হ্যায় মুশকিল সিনেমায় ঐশ্বরিয়া রাইকে চুলের রং পরিবর্তন করতে দেখা গেছে। এরপরও চুলের উজ্জ্বলতা কমে না। কেন বলুন তো?

মসৃণ, সিল্কি ও চকচকে চুলের জন্য ঐশ্বরিয়া রাই বিদেশি পণ্যের ওপর নয়, আস্থা রাখেন ঘরোয়া উপাদানেই। চুলের উজ্জলতা বাড়াতে ও চুল সুস্থ রাখতে অ্যাভোকাডোর বিভিন্ন প্যাক ব্যবহার করেন তিনি। এতে চুল মজবুত হয়, আলাদা করে ময়েশ্চারাইজ না করলেও চলে। এতে আরও আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো পুষ্টিকর বৈশিষ্ট্য।

বাদাম তেল বা নারিকেল তেল দিয়ে ম্যাসাজ, ডিম ও অলিভ অয়েল দিয়ে তৈরি হেয়ার প্যাক, দুধ ও মধু দিয়ে তৈরি হাইড্রেটিং মাস্ক, মায়ো ও অ্যাভোকাডো দিয়ে তৈরি ময়েশ্চারাইজিং প্যাক- এগুলোই হলো প্রাক্তন এই বিশ্বসুন্দরীর চুল সুন্দর থাকার গোপন রহস্য। এমনটাই তিনি জানিয়েছেন ভোগ ইন্ডিয়াকে। ঐশ্বরিয়ার মতো সুন্দর চুল পেতে চাইলে আপনাকে যা করতে হবে-

নারিকেল তেল ও অ্যাভোকাডোর ব্যবহার

একটি পাত্রে অ্যাভোকাডোর স্ম্যাশড করে নিন। এরপর তাতে ২ টেবিল চামচ নারিকেল তেল যোগ করে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই হেয়ার মাস্ক ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এবার কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এবার শ্যাম্পু করে নিন। শ্যাম্পু ব্যবহারের সময় স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করবেন।

কলা ও অ্যাভোকাডো

চুল সিল্কি করার আরেকটি হেয়ার মাস্ক হতে পারে কলা ও অ্যাভোকাডোর ব্যবহার। একটি অ্যাভোকাডো ও অর্ধেক কলা নিন। এরপর এই দুই উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। একটি ব্রাশের সাহায্যে মাথার তালু ও চুলে ব্যবহার করুন। এরপর অপেক্ষা করুন আধা ঘণ্টার মতো। আধাঘণ্টা পর চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করে নিন। নিয়মিত ব্যবহারে উপকার মিলবে দ্রুতই।