শীত তো শেষ হয়ে এলো বলে। যদিও প্রকৃতিতে ঠান্ডা এখনও জায়গা দখল করে আছে। তবে কদিন পরেই এই শীতলতা কমতে শুরু করবে। জীর্ণ গাছটিতেও গজাবে নতুন পাতা। ফুলে ফুলে ভরে উঠতে শুরু করবে চারপাশ। শীতের শেষে ধীরে ধীরে গরম বাড়তে শুরু করবে। প্রকৃতির পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে গিয়ে ত্বকে কিছু সমস্যা হতে পারে। 

শীতে যেমন বাড়তি যত্নের প্রয়োজন, তেমনই শীতের শেষেও খেয়াল রাখতে হবে ত্বকের দিকে। শীত তো শেষ, এখন আর যত্নের প্রয়োজন নেই ভেবে বসে থাকবেন না। মনে রাখবেন, ত্বকের যত্নের প্রয়োজন পড়ে সব সময়েই। শুধু ধরনটা ভিন্ন হয়। ত্বক ভালো রাখার প্রথম শর্ত হলো ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখা। জেনে নিন শীতের শেষে ত্বক ভালো রাখতে কোন যত্নগুলো করবেন-

মুলতানি মাটির প্যাক

শীতের শেষে ত্বকে টান অনুভব করতে পারেন। এসময় ত্বক আরও বেশি স্পর্শকাতর হয়ে যায়। এই সমস্যা দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন বিশেষ প্যাক। এটি তৈরি করার জন্য প্রয়োজন হবে মুলতানি মাটি, কাঁচা হলুদ ও জলপাইয়ের তেল। এই তিন উপাদান পরিমাণমতো নিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এরপর সেই মিশ্রণ ভালোভাবে লাগান মুখ, হাত ও পায়ে। এভাবে রাখতে হবে বিশ মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন। 

খেয়াল রাখুন সাবানে

সাবানের কারণেও আমাদের ত্বকের রুক্ষতা বাড়তে পারে। প্রতিদিন গোসলের সময় কেমন সামান ব্যবহার করেন? যাদের হাতের চামড়া খুব বেশি রুক্ষ তাদের গোসলের সময় ক্ষারযুক্ত সাবানের বদলে ময়েশ্চারাইজারযুক্ত সাবান ব্যবহার করা উচিত। এতে ত্বকের শুষ্কতা থেকে সহজে মুক্তি পাবেন। 

মসৃণ ত্বকের জন্য

যদি ভেবে থাকেন শীতের শেষে ত্বকের মসৃণভাব এমনিতেই ফিরে আসবে, তবে সেটি ভুল। কারণ শীত তার রুক্ষতার ছাপ রেখে গেলেও ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তা নিজ থেকে ঠিক হয় না। সেজন্য প্রয়োজন পড়ে বিশেষ যত্নের। এই কাজে ব্যবহার করতে পারেন তিলের তেল, গ্লিসারিন ও গোলাপজল। এই তিন উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে নিয়মিত ব্যবহার করবেন। এতে ত্বক মসৃণ হবে। পরিবর্তনটা নিজেই বুঝতে পারবেন।

সপ্তাহে একদিন বিশেষ মাস্ক

প্রতিদিনের নিয়মিত যত্নের পাশাপাশি সপ্তাহে অন্তত একদিন একটু বাড়তি যত্ন নিতে হবে। সেজন্য প্রয়োজন পড়বে মধু, গ্লিসারিন ও লেবুর রস। তিনটি উপাদানই সমপরিমাণ নিয়ে ভালোভাবে মেশান। এরপর মাস্কের মতো করে মুখে মাখুন। এটি রেখে দিন মিনিট পনেরো। এরপর ধুয়ে নিন। এই মিশ্রণ মুখ তো পরিষ্কার করবেই, সেইসঙ্গে ময়েশ্চারাইজও করবে ত্বককে।

পানি এবং অন্যান্য

শীতের সময়ে ঠিকভাবে পানি খেয়েছেন তো? বেশ, এবার সেই অভ্যাস ধরে রাখুন শীতের শেষেও। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন। প্রতিদিন অন্তত আড়াই-তিন লিটার পানি পান করুন। এতে আপনার শরীরে জমে থাকা দূষিত উপাদান সহজে বের হয়ে যাবে। শরীরও ভেতর থেকে আর্দ্র থাকবে। সেইসঙ্গে মৌসুমী বিভিন্ন ফল ও সবজি খেতে হবে পর্যাপ্ত। খাবারের তালিকা থেকে ফাস্টফুড, ভাজাপোড়া এবং অতিরিক্ত চিনি বাদ দিতে হবে।