করোনা মহামারি নতুন রূপে ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আবারও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া শুরু করেছি। যেহেতু ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, তাই ভাইরাস এবং সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ যা সাধারণত বছরের এই সময়ে ছড়িয়ে পড়ে। একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারার প্রথম এবং প্রধান উপাদান হলো সুষম এবং পুষ্টিকর খাদ্য। পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা সুস্বাস্থ্যের জন্য মৌসুমী খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন এবং এগুলো সহজে পাওয়া যায়। জেনে নিন এমন মৌসুমী খাবার সম্পর্কে যেগুলো এই মৌসুমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করবে-

মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলু শীতকালে নাস্তার জন্য একটি জনপ্রিয় খাবার। এটি ফাইবার, ভিটামিন এ এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। ফলে এটি প্রদাহ কমায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। এটির একটি ছোট টুকরা আমাদেরর বিটা ক্যারোটিনের দৈনিক চাহিদা পূরণ করে এবং সুস্বাস্থ্য দেয়।

গুড়

গুড় চিনির একটি দুর্দান্ত বিকল্প এবং এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে, যা রক্তস্বল্পতায় ভুগছে এমন মানুষের জন্য উপকারী। এটি শক্তিশালী ফুসফুস পরিষ্কারক হিসাবে কাজ করে। তাই দূষিত এলাকায় বসবাসকারী মানুষের জন্য এটি বিশেষভাবে সহায়ক।

খেজুর

মিষ্টি স্বাদের খেজুর ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার সমৃদ্ধ। এটি দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে তা প্রাকৃতিক মিষ্টি হিসাবে কাজ করে। বিশেষ করে দাঁত ও হাড়ের জন্য খেজুর বেশি উপকারী, এটি বাতের রোগীদের বেশি খেতে বলা হয়।

বাদাম

বাদাম ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। ভিটামিন ই এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ এই ফল শরীরকে উষ্ণ রাখে। সেইসঙ্গে প্রদাহ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। বাদাম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করার একটি দুর্দান্ত উত্স, এটি নাস্তার সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে।

সরিষা শাক

সরিষার শাক শীতকালীন খাবার। এটি ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ, উভয়ই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে। এই শাক মেনোপজের সময়ের সমস্যাগুলো সহজ করতে এবং হৃদরোগের অবস্থার উন্নতি করতে সহায়তা করে।

আমলকি

ভিটামিন সি-এর অন্যতম সেরা উৎস আমলকি। এটি সাধারণ সর্দি, কাশি এবং ভাইরাল সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। এটি নানা উপায়ে খাওয়া যেতে পারে। সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়ার জন্য এটি প্রতিদিন খেতে হবে।

শীতের সবজি

শীতকাল হলো গাজর, শালগম, ফুলকপি, শীম, মুলার মতো সবজির সময় যা শরীরে ম্যাঙ্গানিজ, বিটা ক্যারোটিন এবং পটাসিয়াম যোগ করে এবং যেকোনো রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। গাজর ভিটামিন এ-এর একটি বড় উৎস যা চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী।