প্রত্যাশা এমন একটি জিনিস যা খুব বেশি হলে যেকোনো সম্পর্ক নষ্ট করে দিতে পারে। আপনি যা চান তা করার জন্য অন্যের প্রতি আশা করে থাকা তাদের জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে। যদি আপনার সঙ্গীকে এমন কিছু করতে বলেন, যা তাদের জন্য সম্ভব নয় বা তাদের ক্ষমতার মধ্যে নেই, তখন তারা ভীষণ রকম চাপ অনুভব করেন। স্বামীর কাছ থেকে কিছুর জিনিস প্রত্যশা করা উচিত নয়। এগুলো মেনে চলতে পারলে বৈবাহিক সম্পর্ক সুন্দর থাকবে।

মুখ ফুটে মনের কথা বলুন

আপনি না বললেও আপনার মনের সব কথা স্বামী বুঝতে পারবেন, এমনটা আশা করবেন না। কারণ কার মনের ভেতরে কী চলছে তা মুখ দেখেই বলে দেওয়া কারও পক্ষে সম্ভব নয়। তাই মনের কথা আপনার নিজের মুখেই স্বামীকে জানান। আপনি না বললে তিনি জানতে পারবেন না। আপনার মুখ দেখে বা কাজের মাধ্যমে তিনি অল্পস্বল্প বুঝতে পারেন। কিন্তু না বলতেই সবটা বুঝে ফেলবেন, এমন অবুঝ আশা করবেন না।

মানিয়ে নিন

আপনি আশা করতে পারেন না যে আপনার স্বামী তার শৈশবকাল থেকে যে মূল্যবোধগুলো রয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করবেন এবং আপনার সাথে খাপ খাইয়ে নেবেন। একটি সফল বিয়ে হলো এমন একটি বিষয়, যেখানে আপনারা উভয়েই একে অপরের মূল্যবোধ এবং মতামতের সঙ্গে মানিয়ে নেবেন।

সময় বেধে দেবেন না

জেনে রাখবেন, প্রতিটি ব্যক্তির নিজস্ব গতিতে কাজ করার নিজস্ব উপায় রয়েছে। আপনি আশা করতে পারেন না যে আপনার স্বামী আপনার সময়সীমার মধ্যে কিছু করবেন। এমনকি যদি কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করে তবে এটি তার ওপর একটি নেতিবাচক চাপ তৈরি করবে যা সে মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে না।

প্রশংসা করুন

আপনার স্বামী আপনার প্রতিটি ছোট অভ্যাসের প্রশংসা করুক বা না করুক, আপনি অবশ্যই তার কাজের প্রশংসা করবেন। প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যে ত্রুটি আছে এবং আপনার সঙ্গীর যেকোনো বিষয় সম্পর্কে ভিন্ন মতামত থাকতে পারে। এর মানে এই নয় যে তিনি আপনাকে অসম্মান করেন। তাই এসব ছোটখাটো বিষয় থেকে একটি বড় সমস্যা তৈরি করার প্রয়োজন নেই। আর আপনি তার প্রশংসা করলে তিনি লজ্জিত হবেন ও আপনার প্রশংসাও করতে শিখবেন।

সুখি হোন

আপনাকে সুখি হতে হবে। আপনার স্বামীর ওপর আপনাকে সুখে রাখার সমস্ত দায়িত্ব দিয়ে রাখবেন না। এর একটি বড় অংশ তিনি হতে পারেন। তবে সুখ একটি অনুভূতি যা প্রথমে নিজেকে অর্জন করা উচিত। ভালোবাসা, সমর্থন এবং যত্নের জন্য আপনি সব সময় আপনার স্বামীর ওপর নির্ভর করতে পারেন।