ধীরে ধীরে জমে উঠছে অমর একুশে বইমেলা। প্রতিদিনই প্রকাশ হচ্ছে নতুন নতুন বই। সমাবেশ ঘটছে লেখক, প্রকাশক-পাঠকদের। বরাবরের মত কবিতার বইয়ের আধিক্য থাকলেও, উপন্যাসের প্রতিও পাঠকের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।

তবে এবারের বইমেলায় ব্যতিক্রমী একটি বই পাঠকের নজর কেড়েছে। ‘ভাগীরথী থেকে বুড়িগঙ্গা’ বইটি প্রকাশ হয়েছে আল-হামরা প্রকাশনী থেকে। লিখেছেন জনপ্রিয় সাংবাদিক এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটর সালাহউদ্দীন সুমন।

বইটি সম্পর্কে সালাহউদ্দীন সুমন বলেন, ‘বহুদিন ধরেই ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা ছিল। সেই তাড়না থেকেই ছুটে যাই মুর্শিদাবাদের ভাগীরথী নদীর তীরে। সেখানে গিয়ে খুঁজে বের করি মীর জাফরের বংশধরদের। তাদের বর্তমান হাল-হকিকত জানার চেষ্টা করি। তারই ধারাবাহিকতায় বাঙলার স্বাধীন শেষ নবাব সিরাজুদ্দৌলার বংশধরদেরও খুঁজে বের করি। সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধান করি বুড়িগঙ্গার পাড়ের ঐতিহাসিক জিনজিরা প্রাসাদের। যেখানে সিরাজউদ্দৌলাকে আট বছর বন্দী করে রাখা হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই সফরের শুরু হয়েছিল ভাগীরথী নদীর তীরে, শেষ হয়েছে বুড়িগঙ্গায়। তাই এই বইয়ের নাম ভাগীরথী থেকে বুড়িগঙ্গা। এই সফরের চরাই উতরাই, উত্থান পতনের ঘটনাবলীগুলোই তুলে এনেছি বইটিতে। এ বিষয়ে একটা আমি ভিডিও কন্টেন্ট বানিয়েছিলাম, যা তুমুল সাড়া ফেলেছিলো। তবে মনে অপূর্ণতা অনুভব করছিলাম। কারণ ভিডিও কন্টেন্টে সব বিস্তারিত বলা কঠিন। আল-হামরা প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী খান মুহাম্মদ মুরসালীনের সুবাদে সেই অপূর্ণতাটুকু ঘুচলও। নেপথ্যের অনেক ঘটনাবলী প্রকাশের সুযোগ হলও।

‘ভাগীরথী থেকে বুড়িগঙ্গা’ বইটি সম্পর্কে প্রকাশক খান মুহাম্মদ মুরসালীন বলেন, ‘লেখক সালাহউদ্দীন সুমনের বিশেষ একটি দিক হলো, তিনি সরেজমিনে ইতিহাসের পাতায় পাতায় বিচরণ করেন। বইপত্র ঘেঁটে অনেক বই-ই রচনা করা যায়। কিন্তু লেখক সরেজমিনে যেভাবে ইতিহাসের কানাগলি আমাদের সামনে এনে হাজির করেন, সেটা বিরল। তাই ইতিহাসের দায় থেকেই আমরা করেছি। 

এইউএ/আরআর