অমর একুশে বই মেলা ২০২২-এ লেখক জাকিয়া খানের যুদ্ধ দিনের স্মৃতি প্রকাশিত হয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে বিদ্যাপ্রকাশ প্রকাশনী। প্রচ্ছদ করেছে মোস্তাফিজ কারিগর।

‘যুদ্ধ দিনের স্মৃতি’ মূলত ২০ জন মানুষের কথন। যার মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে একটি বিশেষ সময়, ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা। যারা কথা বলেছেন, তারা প্রায় কেউই কেন্দ্রে থাকা মানুষ নন। প্রথমবারের মতো নিজেদের অভিজ্ঞতার বয়ান দিয়েছেন। প্রান্ত থেকে কেন্দ্রে পৌঁছানোর এই চেষ্টাটুকু খুব সৎ। শখে কেনা শেলফে সাজানো বই পড়া না হলে সংখ্যাই বাড়ায় কেবল। কিন্তু সে বই যখন পঠিত হয়, তখন বইলব্ধ জ্ঞান নিজেকে ঋদ্ধ করার পাশাপাশি সমাজ গঠনে অবদান রাখতে পারে। মুক্তিয্দ্ধুও তেমন। যথাযথ চর্চার মাধ্যমে মুক্তির পথ উন্মুক্ত করার শক্তি মুক্তিযুদ্ধেরই আছে। ২৫/৩০ বছর পর হয়তো আমরা কোনো জীবিত মুক্তিযোদ্ধা পাব না, পাশে থাকবেন না মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শীরাও। কালের গর্ভে হারিয়ে যাবে আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জনের অনেক কাহিনি। সে বিবেচনায় যুদ্ধ দিনের স্মৃতি মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ দলিল রচনার আকর হয়ে উঠতে পারে।

লেখক জাকিয়া খান স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে। শিক্ষকতার শুরু ঢাকার লিট্ল এন্জেল্স স্কুলে। বর্তমানে পড়াচ্ছেন সানিডেইল স্কুলে। দায়বদ্ধতা থেকে শুরু করেছেন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজ। ২০১৪ সালে প্রকাশিত হয় ছোটদের জন্য বই ‘বিশ্বের আলোচিত ১০ ক্ষমতাধর নারী শাসক’, ২০২০ সালে ‘আমাদের পাখিরা’। ২০২২ সালে ‘মুক্তিযুদ্ধে এক কিশোর’, ‘যুদ্ধদিনের স্মৃতি’ দুটো বই। লেখকের জন্ম ১৯৭১ সালে ঢাকায়, বেড়ে উঠাসহ নিত্যকার জীবনযাপনও এখানেই।