‘সোনা দানা দামি গহনা..’ ‘চন্দ্র সূর্য যত বড় আমার দুঃখ তার সমান..’ এরকম অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গীতিকার শহীদুল্লাহ ফরায়জী তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন। সেগুলো মুগ্ধ হয়ে শুনলেন ‘কবিকণিকা’র সদস্যরা। কবি-সাহিত্যিকদের নিয়ে ‘কবিকণিকা’ সমাজসেবামূলক সাহিত্য সংগঠন। এই মতাদর্শে বিশ্বাসী ব্যক্তিদের নিয়ে কবিতা ও সাহিত্য আলোচনা ও ঈদ পুনর্মিলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কবিকণিকা। শুক্রবার ধানমন্ডিতে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 

‘সোনা দানা দামি গহনা..’ গানটা অসম্ভব জনপ্রিয়তা পাওয়ার পরের একটি ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে গানের গীতিকার ৭৫ বছর বয়সী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘হঠাৎ এক অনুষ্ঠানে আমাকে বেশ কয়েকজন নারী ঘিরে ধরলেন। তারা জানান, আমি তাদের অনেক ক্ষতি করে দিয়েছি। কি ক্ষতি জানতে চাইলাম। তারা বলল, এই গানের পর তাদের স্বামীরা আর সোনা-গহনা দেবে না!’ 

অনুষ্ঠানে নিজের কবিতা আবৃত্তি করে মুগ্ধতা ছড়ান ড. আমিনুল কাদের মির্জা, ড. খসরুজ সামাদ, সুমাইয়া বারি, নাসরিন রহমান-মাহিবুর রহমান আলালসহ অনেকেই। অনুষ্ঠানে গান গেয়ে প্রাণবন্ত পরিবেশ এনে দেন কুসুম কলি, আফরোজা মাহমুদ শারমিন-নাহিদা দিনার সুলতানারা।

কবিকণিকার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কাকলি আফরোজ বলেন, ‘কবিকণিকা শুধুই একটি সাহিত্য সংগঠন না। সমাজসেবামূলক কার্যক্রমও করে থাকে। সাহিত্যচর্চা ও গুণীদের সম্মান করা, সুস্থধারায় বাংলার সাহিত্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সংগঠনের লক্ষ্য।’

সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘ভাষা, সাহিত্য-লেখনিতে সৃজনশীলতা খুবই দরকার। সেটা কবিকণিকা ধরে রাখার চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে এটা একটা সমাজসেবামূলক সংগঠন। সাধ্যমতো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায় সংগঠনটি।’

জ্যোতির্ময় মন্ডলের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন উজ্জীবন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক অলিউল্লাহ অলি, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হাই, কবিকনিকার প্রধান উপদেষ্টা এমদাদুল কাদের, অর্থ সম্পাদক আশিক মাহমুদ রিপন, আমিনুল কাদের মির্জা, মঞ্জুরুল হক, এস আই মোবারকসহ অনেকে।