লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের মিলনমেলায় পরিণত হওয়া চট্টগ্রামের অমর একুশে বইমেলার পর্দা নেমেছে ২২ দিন পর।

শুক্রবার (১ মার্চ) বইমেলা মঞ্চের সাংস্কৃতিক আয়োজনের সমাপ্তি ঘটলেও শনিবারও চলবে বই বিকিকিনি।

এবার মেলায় সেরা স্টল হিসেবে অক্ষরবৃত্ত প্রকাশনী প্রথম, বাতিঘর প্রকাশনী দ্বিতীয়, প্রথমা ও বিদ্যানন্দ যৌথভাবে তৃতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের স্টল  বিশেষ পুরস্কার পায়। বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশকে সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা স্মারক দেয় আয়োজক চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।

সিআরবির শিরীষতলায় এবারের বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীন দেশ গড়ার ইচ্ছা বাঙালির মনে জন্ম নিয়েছে। অনেক দেশে গিয়েছি৷ কোন দেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড কেবল বিদেশি কোনো ভাষায় লিখতে দেখিনি। আমরা রক্ত দিয়ে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করেছি। তবে, ভাষাপ্রেমের চেতনা যেন আমাদের অনেকের মাঝে কমে গেছে। আমি কিছুটা হতাশাবোধ করতাম। তবে, এবার বইমেলায় তরুণদের যে সাড়া দেখেছি তাতে আমি আশাবাদী। তরুণরা জাগলে বাংলা ভাষা বাঁচবে, বাঙালি বাঁচবে। বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকবে বাঙালি জাতি। আসুন আমরা বাঙালি হই। আগামী বছর আন্তর্জাতিক মানের চট্টগ্রাম বইমেলা আয়োজনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন মেয়র।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অমর একুশে বইমেলার আহ্বায়ক ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রধান সমন্বয়ক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান ভূ-স্বম্পত্তি কর্মকর্তা সুজন চৌধুরী।

এমআর/এসএম