সরকারি চাকরিজীবীদের সাধারণ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ভবিষ্য তহবিলের (জিপিএফ) টাকা উঠাতে যাওয়া যেন মহা ঝামেলার এক নাম। জিপিএফ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে টাকা উঠাতে গিয়ে অনেককেই পোহাতে হয় নানারকম দুর্ভোগ। এসব সমস্যার সমাধান ও সহজে জিপিএফের টাকা উঠানোর উপায় নিয়ে বই লিখেছেন বাংলাদেশের হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের আওতাধীন সিএএফও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অডিট অ্যান্ড একাউন্টস অফিসার নাছিমা আনোয়ারা বেগম।

‘সাধারণ ভবিষ্য তহবিল বিধিমালা, ১৯৭৯’ শিরোনামে বইটিতে তিনি তুলে ধরেছেন কীভাবে সরকারি চাকরিজীবীরা সহজে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তুলতে পারবেন।

ইতোমধ্যেই সরকারি চাকরিজীবীদের জিপিএফ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য বিধিমালা ও আইবাস নিয়ে বইটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।

বই প্রসঙ্গে লেখিকা নাছিমা আনোয়ারা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকারি চাকরিজীবীরা চাকরিকালীন সময়ে তাদের ভবিষ্য তহবিলের অর্থ তুলতে গিয়ে নানা সমস্যার মুখোমুখি হন। প্রতিনিয়তই পরিচিত অনেকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য আমার কাছে আসেন। তখনই ভাবলাম তাদের এসব সমস্যা নিয়ে আমি একটি বই লিখব, যেখানে সহজভাবে এসব টাকা তোলা নিয়ে সুস্পষ্ট কিছু দিক নির্দেশনা থাকবে।

তিনি বলেন, বইটি লেখার পরই বুঝতে পেরেছি জিপিএফ নিয়ে মানুষের কত আগ্রহ। পরিচিত-অপরিচিত বিভিন্ন জায়গা থেকেই এখন বইয়ের চাহিদা আসছে। এটা আমার জন্য অনেক ভালো লাগার একটি ব্যাপার।

নাছিমা আনোয়ারা বেগম সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নিজের ফেসবুক ওয়ালে নিয়মিতই জিপিএফ ও আইবাস সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য নিয়মিত লিখেন। যে কারণে সরকারি চাকরিজীবীদের কাছে দ্রুতই তিনি পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন।

জিপিএফ ও আইবাস নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি ও পরিচিতি অর্জনের ফলে তাকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগের কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের আইবাসের ওপর দুই দিনের বহিঃপ্রশিক্ষক হিসাবে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য মনোনীত করা হয়। যা বাংলাদেশের প্রথম নারী বহিঃপ্রশিক্ষক বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতে বহিঃপ্রশিক্ষক মনোনয়ন।

নাছিমা আনোয়ারা বেগম ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মৃত মফিজ উদ্দিন সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। মা আয়েশা আক্তার ছিলেন পারিবারিক পেনশনার। ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়ে ভাইয়ের কাছেই তিনি বড় হয়েছেন। সংসার জীবনে তিনি তিন সন্তানের জননী।

টিআই/ওএফ