প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইনটি সাংবাদিকদের মান-মর্যাদা ও স্বার্থবিরোধী। এটি একটি কালো আইন। এই আইন দ্বারা মালিকদের সুরক্ষা করা হচ্ছে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাংবাদিকতা পেশাকেই ধ্বংস করার সব চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এই আইন মানি না, অবিলম্বে এই আইন প্রত্যাহারের দাবি জানাই।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইইজ) একাংশ আয়োজিত সমাবেশ থেকে এসব কথা বলা হয়।  

এতে সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজের একাংশের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, সাংবাদিক ও কবি হাসান হাফিজ, বিএফইউজে মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, সাংবাদিক নেতা সৈয়দ আবদাল আহমদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ।

শওকত মাহমুদ বলেন, এটি কালো আইন। বাংলাদেশের সাংবাদিক সমাজ এ ধরনের কালো আইন মানবে না। এই আইন শ্রম আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমি শ্রমিক হিসেবে শ্রম আইনের আওতায় সেসব সুবিধা পেতাম, এই আইনে সেগুলোর অনেক কিছু থাকবে না। ইউনিয়ন করা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন প্রত্যেক পত্রিকা অফিসে শ্রমিক মালিক সমিতি করা হবে। তাও মালিকদের সুবিধা মতো। যাতে কোনো সমস্যা হলে সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আজ এই আইনটি করা হচ্ছে- ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী সরকার সংবাদিকদের মেনে নিতে না পারার কারণে। আওয়ামী লীগ মনে করে সংবাদপত্র মানেই তাদের জম। তাই তারা সাংবাদিকদের বাধার মুখেও এর আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছে। সরকার নির্বাচনের আগে নতুন নতুন আইন করে সাংবাদিকের থামিয়ে রাখতে এসব আইন করছে। আমরা এই আইন মানি না।এই আইনের অধীনে চলতে পারবো না। আমরা শ্রমআইন মেনে চলতে চাই। সাংবাদিক পরিচয় নষ্ট করতে চাই না।

ইলিয়াস খান বলেন, বিনা ভোট ও রাতের ভোটের সরকার, দেশের সাংবাদিকদের নামটি মুছে দিতে চায়। এ জন্য গণমাধ্যমকর্মী আইন তৈরি করেছে। যে আইনটির এক জায়গাতেও সাংবাদিক নাম নেই। আমরা এই আইন চাই না।

এমআই/এনএফ