বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেছেন, এ সরকার সাংবাদিকদের ওপর খুন, গুম ও নির্যাতন চালাচ্ছে। আমাকেও কারাগারে নেওয়া হয়েছিল। এখনও মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি। সরকারের দুর্নীতি ও অনিয়মে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ। অবিলম্বে গণমাধ্যমবিরোধী সব আইন বাতিলের দাবি জানাই। 

সোমবার (৮ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন সাংবাদিক নেতারা।

রুহুল আমিন গাজী বলেন, সরকার হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। অথচ মানুষের আয় বাড়েনি। মানুষ না খেয়ে থাকছে। এটি আজ স্পষ্ট হয়ে গেছে, এ সরকারের পতন ছাড়া দেশের মানুষের মুক্তি নেই। তাই বিরোধী দলগুলোকে বলব এখন আর সভা-সমাবেশ নয়, দুর্বার আন্দোলন করে সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করতে হবে।

ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সরকারের অপশাসনের কারণে বাংলাদেশ মনুষ্য বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশকে সরকার ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। অর্থের অভাবে প্রান্তিক মানুষ সন্তান পর্যন্ত বিক্রি করে দিচ্ছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। বাংলাদেশকে কার্যকর রাষ্ট্র রাখতে হলে ব্যর্থ সরকারকে বিদায় ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই।

সাংবাদিক নেতারা বলেন, প্রতিনিয়ত সাংবাদিক নির্যাতন হত্যা বেড়েই চলছে। কোনো ঘটনারই সুষ্ঠু বিচার হচ্ছে না। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও সাগর-রুনিসহ কোনো সাংবাদিক হত্যার বিচার আজ পর্যন্ত হয়নি। একের পর এক কালাকানুনের কারণে স্বাধীন সাংবাদিকতার পথ এখন রুদ্ধ। 

ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, অবিলম্বে সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। সব কালাকানুন বাতিল করে সব গণমাধ্যম খুলে দিতে হবে। তা না হলে সাংবাদিক সমাজ রাজপথে দুর্বার আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।

ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, দৈনিক নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, বিএফইউজের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোদাব্বের প্রমুখ

আইবি/আরএইচ