প্রয়াত সাংবাদিক অমিত হাবিবের আদর্শ ও নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিকতা দেশের গণমাধ্যমের পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে দৈনিক দেশ রূপান্তরের সদ্যপ্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক অমিত হাবিব স্মরণে ‘অসীমে অমিত’ শীর্ষক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি মানুষের জীবনের একটি গল্প থাকে। রাস্তার ধারে বিড়বিড় করে চলা পাগল বলে আখ্যায়িত মানুষেরও বেদনার গল্প থাকে। যেদিকে সমাজ-রাষ্ট্র তাকানোর ফুরসৎ পায় না, সেই সব গল্প তুলে এনে যে সাংবাদিকরা আমাদের দৃষ্টি খুলে দেন, অমিত হাবিব শুধু তাদেরই একজন নন, তিনি ছিলেন তেমন সাংবাদিক তৈরির কারিগরও।

ড. হাছান বলেন, মানুষের জীবন বুদবুদের মতো হলেও কিছু কিছু মানুষ তাদের কর্ম দিয়ে জগত-সমাজকে সমৃদ্ধ করে যান, অমিত হাবিব তাদেরই একজন। অমিত হাবিব আমাদের সাংবাদিকতাকে সমৃদ্ধ করেছেন, সংবাদ জগতের প্রেরণা ছিলেন, প্রেরণা হয়েই থাকবেন। আমরা তার আত্মার শান্তি কামনা করি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, তরুণ সাংবাদিকরা অমিত হাবিবের কর্মনিষ্ঠার পদাঙ্ক অনুসরণ করলে সাংবাদিকতা আরও সমৃদ্ধ হবে।

সভায় স্মৃতিচারণ করেন বিশিষ্ট নাট্যজন মামুনুর রশীদ, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া, সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সুকান্ত গুপ্ত অলক, দেশ রূপান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তফা মামুন, প্রকাশক মাহির আলী খাঁন রাতুল, অমিত হাবিবের ছোটভাই ফয়জুল হক রাঙা প্রমুখ।

১৯৬৩ সালে জন্ম নেওয়া ঝিনাইদহের সন্তান অমিত হাবিব ২৫ বছরের নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিকতার জীবন শেষে গত ২৮ জুলাই ৫৯ বছর বয়সে ধরাধাম থেকে অসীমের পথে পাড়ি দেন। ১৯৮৭ সালে খবর গ্রুপ অব পাবলিকেশন্সে একই সঙ্গে রিপোর্টার ও সাব-এডিটর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন অমিত হাবিব। দেশ রূপান্তরের সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি কালের কণ্ঠ, সমকাল, যায় যায় দিন, আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ, সাপ্তাহিক পূর্বাভাস পত্রিকায় তার কর্মদক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন।

অমিত হাবিবের কবিতা ‘একজন মানুষ আনো’ দিয়ে শুরু হওয়া স্মারক প্রকাশনা ‘অসীমে অমিত’— এর পাতায় স্থান পেয়েছে আনিসুল হক, মুন্নী সাহা, আন্দালিব রাশদী, মোস্তফা মামুন, রাজেকুজ্জামান রতনসহ আরও অনেক লেখক ও সাংবাদিকের নিবন্ধ ও স্মৃতিকথা।

এসএইচআর/আরএইচ