ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যদি প্রয়োজনই না থাকত, তাহলে আইনটি পার্লামেন্টেই আসত না। এরপরও যেহেতু আইনটি নিয়ে সাংবাদিকদের নানা আপত্তি আছে, আমি চাই আপনারা আরও বিশদভাবে বিষয়গুলো তুলে ধরুন।

শুক্রবার (২৬ মে) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, আমাদের কার কতটুকু কতটুকু, আমি মনে করি সেটি পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতেই নির্ধারণ হওয়া উচিত। সাংবাদিকতার একটি আলাদা নীতি আছে, আপনারা সেই নীতিমালা অনুসারেই চলেন। আমার কাছে এটি একটি জীবন্ত পেশা।

তিনি বলেন, সাংবাদিকতার দায়বদ্ধতা নিয়ে নিশ্চয়ই আপনারা সচেতন, আপনাদের এ বিষয়ে বলাটা মায়ের কাছে মাসির গল্প করার মতো। তবে বিভিন্ন বিষয়ে আপনাদের উচিত নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে বসা, সরকারি দল হোক, বিরোধী দল হোক, সমাজের সব শ্রেণিপেশার সঙ্গে বসে আপনারাও একটি মতামত প্রদান করুন। এতে আমরাও সমৃদ্ধ হব, আপনারাও হবেন।

সাংবাদিকদের সংঘবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মাধ্যমে আপনারা সংঘবদ্ধ আছেন, সংঘবদ্ধ থাকতে পারা মানেই টিকে থাকা। আর টিকে থাকা মানেই সামনে এগিয়ে যাওয়া। আপনাদের উপদেশ দেওয়ার মতো কিছু নাই, কারণ আমি আমার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিআরইউ সভাপতি মোরসালিন নোমানী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে আসছে। আমরা যে আশঙ্কাগুলো করেছিলাম, এ আইনের মাধ্যমে সেগুলো অক্ষরে অক্ষরে প্রতীয়মান হচ্ছে। আমরা চাই, দ্রুত যেন আইনটি বাতিল করা হয়।

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে ঢাকায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ‘ঐক্যেই সমৃদ্ধি’ স্লোগানকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শুক্রবার (২৬ মে) ডিআরইউ প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

টিআই/এসএসএইচ/