অবৈধ আইপি টিভি ও জনহয়রানিতে লিপ্ত ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী চলমান অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে সম্প্রচার গণমাধ্যম কর্মীদের সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)। 

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিজেসির চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক এবং সদস্য সচিব শাকিল আহমেদের সই করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইলিং ও জনহয়রানিতে লিপ্ত অবৈধ আইপিটিভি-ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিজেসি অনেকদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল। সরকার এ ব্যাপারে অভিযান শুরু করায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছে বিজেসি।

এর আগে এ অভিযানের জন্য তথ্যমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানিয়েছে দেশের টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন ‘এটকো’, সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)।

উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন অবৈধ অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ভঙ্গকারী আইপি টিভি, ইউটিউব চ্যানেল ও অনিয়মে জড়িত কেবল নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে দেশের সব জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এর পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ আইপি টিভি, ইউটিউব চ্যানেল ও অনিয়মে জড়িত কেবল নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনা শুরু করেন জেলার ম্যাজিস্ট্রেটরা। 

এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঈদের পর সোমবার (৩ জুলাই) রংপুরে মেয়াদ উত্তীর্ণ লাইসেন্স ব্যবহারের অপরাধে প্রাইম কেবল নেটওয়ার্ককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ঈদের আগের দিন সিলেটের পূর্ব জাফলংয়ে দুটি প্রতিষ্ঠানকে যথাক্রমে বিদেশি চ্যানেলের ক্লিনফিড বা বিজ্ঞাপনহীন সম্প্রচারের ব্যত্যয় করার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি মেয়াদ উত্তীর্ণ লাইসেন্স দিয়ে ব্যবসার অপরাধে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

এর আগে গত ২৫ জুন চট্টগ্রামে একাধিক অভিযোগে সি-প্লাস টিভি, সি-ভিশন, ২৪ টিভি ও এসবিটিভি নামের অনুমোদনহীন চারটি আইপিটিভির অফিস সিলগালা করে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট।  

এসএইচআর/কেএ