ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক কাওসার আজমকে সংবাদ প্রকাশের জেরে তলবের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ডিআরইউ।

সোমবার (১১ মার্চ) ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি কর্তৃক কাওসার আজমসহ বাংলা নিউজ ২৪ ডটকমের আরেক প্রতিবেদককে তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হওয়ার নোটিশের ঘটনায় এ নিন্দা জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে গঠিত তদন্ত কমিটি কোনো রিপোর্টারকে এভাবে তলব করতে পারে না। তারা কর্তৃপক্ষ বা আদালত নন। এটি অগ্রহণযোগ্য। 

জানা গেছে, গতকাল ১০ মার্চ কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ-৩ অধিশাখার উপসচিব দেবী চন্দ স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় পাঠানো হয়। একইভাবে হোয়াটসঅ্যাপে সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার কাওসার আজমকেও পাঠানো হয়। নোটিশে উল্লেখ করা হয় ‘গত ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় ‘বই না ছাপিয়েও সাড়ে ৮ লাখ টাকা লোপাট’ শিরোনামে এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নিউজ ২৪ ডটকমে ১৯ ফেব্রুয়ারি ‘কৃষি তথ্য সার্ভিসে (এআইএস) বেপরোয়া সিন্ডিকেট, লুটে নিচ্ছে কোটি টাকা’ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘ডকুমেন্টরি শিল্পী সম্মানির নামে আড়াল হয় এআইএসের বিপুল অর্থ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় ৫ মার্চ এ সংক্রান্ত তদন্ত কার্যক্রম আগামী ১২ মার্চ বেলা ১১টায় ড. শাহ্ মো. হেলাল উদ্দীনের (অতিরিক্ত সচিব, সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ-কৃষি মন্ত্রণালয়) সভাপতিত্বে কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ফার্মগেটে অনুষ্ঠিত হবে।

এমতাবস্থায় উক্ত ধার্যকৃত তারিখে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত নিয়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। 

কাওসার আজম জানিয়েছেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতেই এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। যা সরেজমিনে গিয়ে ফাইলপত্র ও সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ বা কথা বললেই প্রমাণ মিলবে। 

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ বলেন, কোনো সাংবাদিক তার প্রতিবেদনের সোর্স প্রকাশে বাধ্য নন। ২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর সাংবাদিককে তার সংবাদের উৎস (সোর্স) প্রকাশ না করার ক্ষেত্রে আইন সুরক্ষা দিয়েছে বলে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ ৫১ পাতার রায়ে এ পর্যবেক্ষণ দেন। 

তারা বলেন, সাংবাদিক কাওসার আজমসহ বাংলা নিউজ ২৪ ডটকমের আরেক প্রতিবেদককে সংবাদ প্রকাশের জেরে কৃষি তথ্য সার্ভিসের কার্যালয়ে হাজির হওয়ার নোটিশ স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর হুমকি। 

ওএফএ/এমএ