প্রবীণ সাংবাদিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খানকে চাকরি ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। গ্লোব-জনকণ্ঠ শিল্প পরিবার লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুর রহমান চাকরি ছেড়ে দিতে বলেছেন তাকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রবীণ সাংবাদিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আজ কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরি ছেড়ে দিতে বলেছে। তারা বলেছে- আপনি অসুস্থ। তাই কাজ করতে পারবেন না। আমি বিষয়টি অবহিত হয়েছি।’

জানা গেছে, জুন মাস থেকে প্রবীণ সাংবাদিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান জনকণ্ঠের সঙ্গে আর থাকছেন না। কর্তৃপক্ষকে তিনি তা জানিয়ে দিয়েছেন। তোয়াব খান কয়েক মাস করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।

গত ১৫ মার্চ একদিনেই জনকণ্ঠের ৬০ শতাংশ সাংবাদিককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। জনকণ্ঠ থেকে গণ-অব্যাহতি পাওয়া বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সাংবাদিকদের গণ-অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি এখনও সুরাহা হয়নি। এরই মধ্যে দেশের প্রবীণ সাংবাদিককে চাকরি ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। এটি দুঃখজনক। বেতন-ভাতা ও ইনক্রিমেন্ট দাবি করায় দৈনিক জনকণ্ঠের শতাধিক সাংবাদিক-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করেছে কর্তৃপক্ষ। গত ১৫ এপ্রিল অব্যাহতি দেওয়ার পর ওইদিনই জনকণ্ঠ ভবনের সামনে প্রতিবাদ করেন চাকরিচ্যুত সাংবাদিকরা। ১৬ এপ্রিল চাকরিচ্যুত সাংবাদিকরা জনকণ্ঠ অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। ওইদিন কর্মসূচি চলাকালে সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়।

পিএসডি/এসএম